পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ মাস থেকে আপনার মাইনে আমি ত্ৰিশ টাকা ক’রে দিলাম। এখন বাড়ী চলুন। আপনার ছেলের সরস্বতা পূজার জিনিসপত্র আজ রাত্রেই কিনতে হবে। তার পরে যা হয়, সে আমি ঠিক করব। (ভূত্যের প্রতি) ওরে, দোকান বন্ধ কর।” ( ܟ ) * পরদিন প্ৰাতঃকালে কাপড়-চােপড় ও নানারকম জিনিসপত্ৰ লইয়া উমেশচন্দ্ৰ হাবড়া ষ্টেশনে গেলেন। ষ্টেশনে যাইয়া দেখেন, যে ট্রেণে তিনি যাইবেন, সে ট্ৰেণ চলিয়া গিয়াছে। ষ্টেশনে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়া পরের ট্ৰেণে উঠিলেন। মেমারী ষ্টেশনে যখন নামিলেন, তখন বেলা প্ৰায় সাড়ে-এগারটা। তিনি একটা মুটের মাথায় জিনিসপত্ৰ দিয়া বাড়ী চলিলেন । এদিকে উমেশচন্দ্ৰকে সোমবার রাত্ৰিতে আসিতে না দেখিয়া সকলেই নিরাশ হইয়াছিল। অখিল বলিল, “পিসি-মা, বাবা ত এলেন না, পত্রেরও উত্তর দিলেন না।” পিসি-মা বলিলেন, “বাবা,তোমার বাবা কা’ল আসবেন।” মঙ্গলবার আসিল, প্ৰাতঃকাল হইতে তিনটা গাড়ী চলিয়া গেল। অখিল শুধু বলে, “পিসি-মা, এই গাড়ীখানি দেখে তবে ঠাকুর মশাইকে পূজোর জন্য ডেকো ।” SV)0.