পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুজারু, পোষাক অনেক কষ্টে চক্ষের জল সংবরণ করিয়া ধ্রুবকে কোলে লইয়া বাড়ীর মধ্যে গেলাম । সেই দুঃখের কাহিনী আর কাহাকেও বলিলাম না, ধ্রুবও সে কথা তুলিল না। সেই রাত্ৰিতেই ধ্রুবের জ্বর বাড়িল । পাড়ায় এক জন ডাক্তার ছিলেন, রাত্ৰিতেই তেঁহাকে ডাকিয়া আনিলাম । ডাক্তার ঔষধ দিলেন ; বলিলেন, “জ্বরটা কিছু বেশী হয়েচে ; তা কোন ভয় নেই, দুই এক দিনেই সেরে যাবে।” জ্বর ছাড়িল না, ক্ৰমেই বাড়িতে লাগিল, অস্থ্য উপসৰ্গও দেখা দিল। মায়ের “গুমাদেশে সাংেব ডাক্তার আনিলাম । মায়ের ও স্ত্রীর সে দুই চারি খানি অলঙ্কার ছিল, তাহা বন্ধক দিয়া চিকিৎসা চালাইতে লাগিলাম : কলিকাতার যত বড় বড় ডাক্তার ছিল সকলকেই আনিতে লাগিলাম। কিছুতেই কিছু হইল না। সপ্তম দিনে বিকার দেখা দিল-বুঝিলাম ধ্রুবকে বঁাচাইতেঁ পারিলাম না। বিকারের ঘোরে ধ্রুব শুধু বলে, “বাবা, আমি পোষাক চাইনে, বাবা ! আমি পোষাক চাইনে” । এ যে আমার পক্ষে শক্তিশূেল ! আটদিনের দিন বেলা আটটার সময় ধ্রুব একবার চক্ষু চাতিল-অতি ক্ষীণস্বরে বলিল, “বাবা !” আমি নিকটেই বসিয়া ছিলাম । আমি বলিলাম, “কি বাবা ” ধ্রুব তখন ধীরে S 8N త=