পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর পাঠাটা ঠাকুরবাড়ী দিয়ে আসব। আর এক কথা, ঠাকুরবাড়ীতে যতক্ষণ খুব জোরে ঢাক বেজে না উঠবে, ততক্ষণ তোমরা বাড়ী ফিরো না ; বুঝেছি।” মতির স্ত্রী স্বামীর অভিপ্ৰায় বুঝিয়া ছেলেটাকে নূতন কাপড় পরাইয়া বেড়াইতে লইয়া গেল। যাইবার সময়ও মিয়াজান পাঠাটার গায়ে হাত বুলিয়ে ব’লে গেল, “মণিধন, কোথাও যেও না। আমি নূতন কাপড় পরে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছি; এসে তোমাকে খুব ভাল ক’রে খেতে দেব, মণিধান!” তাহারা যখন দৃষ্টির বহির্ভূত হইল, তখন মতি একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া পাঠাটা লইয়া চলিল। সে কি যাইতে চায় । তার প্রতিপালক যে তাহাকে ঘরে থাকিতে বলিয়া গিয়াছে। পাঠাটা কিছুতেই যাইতে চাহে না । মতি অনেক টানাটানি করিয়া তাহাকে বধ্য-ভূমিতে লইয়া চলিল। কি করিবে, উপায় নাই। পাঠাটা বাড়ীর দিকে চাহিয়া কাতর স্বরে চীৎকার, করিতে করিতে চলিল। তাহার সকরুণ ব্যা ব্যা শব্দে, বেদন ফুটিয়া বাহির হইতেছিল। মতির দুটি চক্ষু জলে ভরিয়া উঠিল। পূজা-বাড়ীতে তখন সপ্তমী পূজা আরম্ভ হইয়াছে। আর একটু পরেই বলিদান হইবে। মিয়াজানের পাঠার >之