পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ণমর্দন-কাহিনী কথা মনে করায় আমার অপরাধ হয় । আমি তখন কাদিয়া ফেলিলাম । আমার ক্ৰন্দন দেখিয়া দ্বিতীয় পণ্ডিত মহাশয়ের দয়া হইল। তিনি বলিলেন, “পড়ায় মনোযোগ না দিলে এমনই করে চিরজীবন কঁাদিতে হবে, এখনই কি হয়েছে ? যাক, আজ তোমাকে ক্ষমা করলাম, তুমি বস।” পণ্ডিত মহাশয় কেমন করিয়া যে ক্ষমা করিলেন, তাহা তখন আমার বালকবুদ্ধিতে আসিল না ; পাঁচ জন ছেলে আমার কণমর্দন করিয়া উপরে উঠিয়া গেল ; তাহার পর পণ্ডিত মহাশয় স্বয়ং কণমর্দন করিয়া আমাকে বেঞ্চের উপর দাড় করাইয়া দিলেন ; ইহার মধ্যে ত ক্ষমার কোন নিদর্শন নাই । তবে তিনি আমাকে বসিতে বলিলেন ; বোধ হয়, এইটিই তাহী স্ব ক্ষমা । ছুটির আর বিলম্ব ছিল না, বিশেষ আমার অভিমানে খন বড়ই আঘাত লাগিয়াছিল ; তাই পণ্ডিত মহাশয়ের এই ক্ষমা আমি মাথা পাতিয়া লইলাম না-আমি দাড়াইয়াই থাকিলাম । ছুটী হইলে বাড়ী ফিরিয়া আসিলাম। পথে আসিতে আসিতে আমার মনে বড়ই ধিক্কার জন্মিল। তখন মনে হইল, গণিত-শাস্ত্রটা এমনই কি, যে আমার তাহা বোধগম্য হইবে না ! এত ছেলে ভাল অঙ্ক কষিতে পারে, ক্ষেত্রতত্ত্ব বুঝিতে পারে, আর আমিই পারিব না ? আমি কি এতই Գ@