পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর ছিলেন, তখন শশীকে এ সকল দেখিতে হইত না, দেখিবার প্রয়োজনও সে বোধ করে নাই ; কিন্তু এখন দুইটি অপরিচিত স্ত্রীলোক আসিয়া যখন গৃহস্থালীর ভার গ্ৰহণ করিল, তখন শশীকে ছেলের দিকে একটু দৃষ্টিপাত করিতে হইল । কিন্তু তাহার এই অধিক মনোযোগ শশীর স্ত্রী ও তাহার মাতা ভাল ভাবে গ্রহণ করিতে পারিল না। শশীর শাশুডা একদিন রতিকান্তকে শুনাইয়া শুনাইয়া বলিল, “জামাই কি আমাকে পর মনে করেন । আমরা কি তার ছেলেকে অযত্ন করি যে, দিনের মধ্যে চোদ্দ বার ছেলের খোঁজখবর নেওয়া হয়। এ সকল কিন্তু আমার ভাল লাগে না । বিন্দু আমি ত তোকে বলিয়াছিলাম, আমার এ বাড়ীতে এসে কাজ নাই ; তুই তা ছাড়ালি নে। কিন্তু জামাইয়ের ভাবগতিক দেখে আমার ভাল বোধ হয় না ; শেষে কি অপমান হয়ে এ বাড়ী ছাড়তে হবে।” কন্যা বিন্দুবাসিনী পূর্ব হইতেই মায়ের মন্ত্রে দীক্ষিতা হইয়াছিল ; রতিকান্ত যে অনর্থক একটা ভার, সতীনের ছেলে যে কোন দিন। আপন হয় না, এ সকল উপদেশ সে বিবাহের সম্বন্ধের দিন হইতেই শুনিয়া আসিতেছিল ; সে যে তাহার স্বামীকে তিন দিনেই বশ করিয়া ফেলিতে পরিবে, tro