পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

quintinubuminífinuadalahagian পুত্রের মুখে এই কথা শুনিয়া মাতা যেন হৃদয়ে কল পাইলেন ; তঁ’হার মনে হইল, কে একজআ বোেম এই বালকেন্ম মুখ দিয়া তঁহাদের জন্য অভয়বাণী প্রেরণা করিলেন । তিনি তখন পুত্রের মুখচুম্বন করিলেন ; কোন কথা বলিবার মত অবস্থা তখন তঁাহার ছিল না । প্ৰাতঃকালে উঠিয়াই নিরুপমা পাশ্বের বাড়ীর গৃহিণীর নিকট হইতে আধ সেয়া চাউল ধার করিয়া আনিয়াছিল । সে তাড়াতাড়ি সেই ভাত চড়াইয়া দিল এবং উঠানের বেগুন গাছে তিনটি বেগুন ধরিয়াছিল, তাহারই একটি আনিয়া ভাতে দিল । যথাসময়ে সেই ৰেংগুনভাতে ভাত খাইয়া অমরনাথ প্ৰাইজ আনিবার জন্য স্কুলে যাইতে প্ৰস্তুত হইল । সে আজ পঞ্চম শ্রেণীর প্রথম পুরস্কার পাইবে । তাহার পর তাহার আবৃত্তি। আবৃত্তি যদি খুব ভাল হয়, তাহা হইলে সে আরও একটা পুরস্কার পাইতে পারে। পূর্ব দিনই নিরুপমা ভাইয়ের কাপড় ও জামাটা আধ পয়সার সাবান আনিয়া কাচিয়া রাখিয়াছিল ; আর তা ভাল কাপড়, কি যেমন তেমন কাপড়ও নাই। ঐ একখানি কাপড় ও একটা জামা এখন অমরের একমাত্র পরিধেয় হইয়াছে । আয় সকলই তাহাত্ময় মাতা একে একে বেচিয়া কেলিয়াছেন । কেমন অভাবে পড়িলে যে মাতা প্ৰাণাধিক পুত্রের বস্ত্ৰ বিক্রয় করিল্প থাকেন, তাহা Yo) •