পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর গরীব মানুষ। সে চাটুয্যে মশায়ের কাছে কিছু লাভের আশায় আসিয়াছিল। কৰ্ত্তাকে খুন্সী করিবার জন্য সে বলিল, “মতি, ওতে আর আপত্তি কোরো না ; কৰ্ত্তার ইচ্ছা! হয়েছে, পাঠাটা মায়ের কাছে বলি দিবেন; তাতে কি অমত করতে আছে ? আর কৰ্ত্তা ত অমনি চাইছেন না, ন্যায্য দাম নিয়ে পাঠাটা এনে দিয়ে যাও।” মতি যখন চাটুয্যে বাড়ীতে আসে ঠিক সেই সময় গ্রামের জমিদারের পাইক খাজনার তাগাদায় তাহার বাড়ী গিয়াছিল, এবং মতি যদি দুই দিনের মধ্যে তাহার বাকি খাজন! না দেয়, তা হ’লে তার ভাল হবে না বলিয়া সে ভয় দেখাইয়াছিল । সেই খাজনার কথা মতির মনে হইল । তখন তাহার ঘরে এমন একটা পয়সা ছিল না যে, একটু লবণ কিনিয়া অনে,—খাজনা দেওয়া ত দূরের কথা। তিন সের পাট লইয়া পূর্বদিন সে হাটে গিয়াছিল। পাট বিক্রয় করিয়া যাহা পাইয়াছিল, তাহা দিয়া হাট করিয়া আসিয়াছে। তাহার ঘরে এমন কোন দ্রব্য ছিল না, যাহা বেচিয়া সে খাজনার সাড়ে তিন টাকা দুই চারি দিনের মধ্যে জমিদারের কাছারিতে দিয়া আসিতে পারে। আর শুধু খাজনা দিলেই ত চলিবে না, পেট চলাও ত চাই। এই খাজনার কথা তাহার মনে হইলে সে ভাবিল পাঠাটার উপর যখন ولا