পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ট্রাম গাড়ী অন্ততঃ পাঁচটা পয়সা খরচ করিয়া প্ৰথম বেলায় আফিসে যান। আমরা দেখিয়াছি, ধৰ্ম্মতলা হইতে খিদিরপুর যাইবার জন্য বাঁকা মুটে কোন লোকের সঙ্গে দশ পয়সা বন্দোবস্ত করিয়া লইল । সে তাহা হইতে চারিটি পয়সা খরচ করিয়া খিদিরপুরের পোল পৰ্য্যন্ত ট্রামে যাইয়া থাকে। আমাদের দেশে একটা প্ৰবাদ আছে—“ঘোড়া দেখলে খোঁড়া” ; যানের সুবিধা থাকিলে আর পা দুখানি চলিতে চায় না, কষ্ট বোধ হয়। কিন্তু আমরা যখন কলিকাতায় পড়িতাম, তখন বাগবাজার হইতে কালীঘাট পদব্ৰজেই যাতায়াত করিতাম ; তাহাতে যে বিশেষ কষ্ট হইত, তাহাও ত এখন মনে পড়ে না । এখন আর সে দিন নাই ! এই সম্বন্ধে একটা সত্য Dनों दक्लिडछि । আমাকে কাৰ্য্যোপলক্ষে প্ৰতিদিনই ধৰ্ম্মতল হইতে ট্রামে চড়িয়া শ্যামবাজারের দিকে যাইতে হয়। আমি প্ৰত্যহ দশটা হইতে সওয়া দশটার মধ্যেই ধৰ্ম্মতলায় ট্রামে উঠিয়া বসি । সে সময়ে স্কুল কলেজের ছাত্রেরা অনেকেই ট্রামে চড়িয়া, কেহ বা প্রেসিডেন্সি কলেজের সম্মুখে, কেহ বা মেট্রোপলিটান কলেজের সম্মুখে, আর কেহ বা একেবারে হেদোর পুকুরের সম্মুখে নামিয়া থাকেন। আমি প্রায় প্ৰত্যহই দেখিতে পাইতাম, একটি বছর চৌদ্দ পােনর VS