পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) করিয়া, অবশেষে জগতে ব্যাপ্ত হইতে চায় । এই দাম্পত্যপ্রেমের উৎকর্ষেই সন্তানের উৎকর্ষ, গৃহের উৎকর্ষ ; সুতরাং সমাজের উৎকর্ষের মূলও উহাই । এই প্রেম নষ্ট কর, দেখিৰে গৃহ থাকিবে না,—সব ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে । গৃহ ন৷ থাকিলে, সমাজ কোথায় থাকে ? কোন ইতিহাসাতীত যুগে, যেদিন মানুষ গৃহ বাধিয়া তাহাতে গৃহিণী-স্থাপনা করিয়াছিল, সেইদিন হইতেই অমুকুল ক্ষেত্র পাইয়া মানব-হৃদয়ের এই প্রেম-বীজ অঙ্কুরিত হয়। তার পর, যুগ-যুগান্তরের লালন-পালনে বদ্ধমূল ও বদ্ধিত হইয়া এবং শাখা-প্রশাখায় প্রসারিত হইয়া, নানা-ভাবে নানা-আকারে উহা এখন সমাজ-ব্যাপ্ত হইয়। পড়িয়াছে। স্নেহ বলে, ভক্তি বলে, প্রীতি বলে, মৈত্রী বলে, সহৃদয়ত বলে,—সকল সামাজিক ধৰ্ম্মের মূলই ঐ । গৃহে ইহার জন্ম, সমাজে ইহার ব্যাপ্তি, এবং পরিশেষে প্রেমময়ের পাদমূলে ইহার সমাপ্তি। যে বিশ্ব-প্রেম প্রেমিকের চরম আদর্শ, গার্হস্থ্যধৰ্ম্মেই তাহার দীক্ষা, সমাজ-ধৰ্ম্মেই তাহার সাধনা, এবং দেবত্বলাভেই তাহার সিদ্ধি । 噴 কবির অন্তর্দশী বলিয়৷ এই প্রেমের মাহাত্ম্য বুঝিয়াছেন । তাই দেখিতে পাওয়া যায় যে, জগতের উৎকৃষ্ট কবি-মাত্রেই এই প্রেমের উপাসক। র্তাহীদের কাব্যের রহস্য ভেদ করিলে দেখা যায় যে, এই প্রেমই তাহাদের কাব্যের বীজমন্ত্র । ষিনি ইহার ষক্ত উৎকর্ষ দেখাইয়াছেন, তাহার কাব্য ভক্তই উৎকৃষ্ট । এই প্রেমের উৎকর্ষ-গুণেই প্রেমের প্রস্রবণ