পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমারসস্তব কাব্য । ، بیbه، [ সচেতনের ত কথাই নাই, বিচেতনেও পত্যনুগমন প্রতিপন্ন হই তেছে। অতএব পত্যমুগমন ভিন্ন পতিব্ৰতার গত্যন্তর নাই । ] ৩৪ —“(অতএব ) আমি এই স্থখদ প্রিয়-গাত্ৰ-ভস্মে স্তনযুগল রঞ্জিত করিয়া, অগ্নি-শয্যায় ( যেন নবপল্লব-শয্যায় ! ) এই দেহকে শায়িত করিব — [ তাপ-নিবারণার্থ লোকে গায়ে চন্দন মাখিয়া সুশীতল নবপল্লব-শয্যায় শয়ন করে । এখানে, বিরহ-সন্তাপিত রতির পক্ষে দগ্ধ মদনের ভম্মই যেন চন্দন স্বরূপ, আর অগ্নিই যেন নবপল্লব-শয্যা ! চন্দনের স্থানে “ভন্ম” ও নবপল্লবের স্থানে “অগ্নি”—প্রকারাস্তরে রতির বিষম দুর্ভাগ্য-ব্যঞ্জক । রক্তবর্ণদ্ব-হেতু অগ্নির সহিত নবপল্লবের দৃপ্ত সোসাদৃশু । ] ৩৫ —“হে সৌম্য ! তুমি কতবার আমাদের (স্বামী-স্ত্রীর ) কুস্বমশয্যা-রচনায় সাহায্য করিয়াছ ; সম্প্রতি আমি কৃতাঞ্জলি হইয়া প্রার্থনা করিতেছি,—এখন তুমি আমার চিতা-রচনা করিয়া দাও । { সুখে যিনি সহায়তা করিয়াছেন, দুঃখেও তাহারই সহায়তা করিবার কথা। তা ছাড়া, আজ যখন চিতাই রতির পক্ষে স্বামীর সহিত মিলিত হইবার শয্য, তখন যিনি এতদিন দম্পতীর ফুলশয্যারচনায় সাহায্য করিয়া আসিয়াছেন, আজ তিনিই সেই দম্পতীর ঙ্গিলনার্থ চিতাশয্যা-রচনা করুন। ]