পঞ্চম সগ। . సినీ লতাদিগের পল্লবরাজী কি তুমিই গ্রথিত করিয়াছ ? ঐ রক্তবর্ণ পল্লবসকল তোমার রক্তাভ অধরেরই তুল্য,—তবু তুমি বহুদিন হইতে অধরের অলক্তক-রাগ ত্যাগ করিয়াছ — [ পাৰ্ব্বতী কর্তৃক সযত্নে পালিত লতাগুলির দেহে প্রচুর পল্লবরাজী এমন নিরবচ্ছিন্ন-ভাবে বিস্তস্ত যে, বুঝি উহা পাৰ্ব্বতী কর্তৃকই গ্রথিত হইয়া থাকিবে,——এই সংশয়-হেতু প্রশ্ন । বহুদিন হইতে অলক্তক-রাগ না করিয়া থাকিলেও, পাৰ্ব্বতীর অধর রক্তবর্ণে নব-পল্লবেরই তুল্য । ইহাতে পাৰ্ব্বতীর অধরের স্বাভাবিক রক্তবর্ণত সুচিত হইয়াছে। ] ৩৫ —“ঐ সকল হরিণ,—যাহারা তোমার হাত-থেকে তৃণ কাড়িয়া খায়,—উহাদের প্রতি তোমার মন প্রসন্ন ত ? হে উৎপলাক্ষি । ঐ মৃগগণ তাহদের চঞ্চল-দর্শনে যেন তোমারই চক্ষু-সাদৃশ্য অভিনয় করিতেছে — অপহারীর প্রতি প্রসন্নতা সাধুতা-ব্যঞ্জক । পাৰ্ব্বতী হরিণদিগের উপর প্রসন্ন বলিয়াই যেন উহারা পাৰ্ব্বতীর নেত্র-সাদৃশু অভিনয় করিতেছে! এখানে আর একটু সৌন্দৰ্য্য লক্ষ্য —পাৰ্ব্বতীর বিলোল দৃষ্টি যেন স্বাভাবিক, আর হরিণের নেত্র-চাঞ্চল্য যেন উহার অনুকরণে ‘অভিনয় মাত্র । ] જન્દ્ર" ৩৬ –“হে পাৰ্ব্বতি ! সৌম্যাকৃতি কখনই পাপাচারের নিমিত্ত নহে—ইহা যে কথিত হইয়া থাকে, তাহ মিথ্যা নয় ; হে উদার-দর্শনে ! দেখ, তোমার সৎস্বভাব তপস্বীদিগেরও উপদেশস্থল —
