পাতা:কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ - সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 কুরুক্ষেত্রে শ্ৰীকৃষ্ণ [ প্ৰথম অঙ্ক গান্ধারী। মহারাজ ! বৃদ্ধ তুমি-এ বিরাট ঐশ্বৰ্য্যের অধিকাৰী তুমি। অন্ধরাজ ! বিবেকের অন্ধত্ব মোচন কর-মেহের দ্বারে কৰ্ত্তব্যের বোঝা নামিয়ে দিও না । বিচার ক’রে বেছে” নাও মহারাজ ! একদিকে মুর্থ দুঃসহায়, দুরাত্মার হস্তে রাজ্য সমর্পণ ক’রে নরকের পথ পরিষ্কারঅন্যদিকে ধৰ্ম্মের হস্তে শাসন দণ্ড তুলে দিয়ে স্বৰ্গসুখ ভোগ। ( দুৰ্য্যোধনের প্রবেশ ) দুৰ্য্যোধন । কেন ? আমায় আবার কেন ? গান্ধাৱী । কেন, শুনবে দুৰ্য্যোধন ? শুন, তোমার জননী 'আমিবুকের রক্ত পান কবিয়ে তোমাব অস্থিমজ্জা দঢ় ক’বে তুলেছি-চাখের জলে ইষ্ট দেবতার পূজা ক'রে তোমার কল্যাণ কামনা ক’রে এসেছি। তুমি হেসেছি, শীত যন্ত্রণ উপেক্ষা ক’রে আমি হেসেছি—তুমি কেঁদেছ, বুকে তা আমার শেলের মত বেজেছে —বংস ! আমি তোমার মা-তুমি ‘হামায় পদদলিত ক’রে যদি চ’লে খ্যা ও দুয্যোধন । তথাপি আমি তোমায় অভিসম্পাত দিতে পা”খাব না । ত্রুদ্ধ হ’তে যাব আমি, অশ্রুজালে চক্ষু ভরে যাবে। প্ৰহাবি ক’বতে বদ্ধমুষ্টি হ’ব-মুষ্টি থলে যাবে, আশীৰ্ব্বদাদের মত সে হাত তোমার মস্তক স্পর্শ ক’বলে ; দুস্যোধন ! মাৰ ভালবাসারাজনীতির বন্দন নাই, সমাজনীতিব গণ্ডীতে আবদ্ধ নয়-ভেদনীতিতে পৃথক হয়। ন-দণ্ডনীতিকে ভয় খাব না। মার ভালবাসা-শুধু একটা অব্যক্ত মধুর ত্যাগের উৎস-স্বার্থেব কলুষ নাই, নিরাশার অবসাদ নাই। জগতে মায়ের মত বন্ধু তুমি খুঁজে পাবে না। দুৰ্য্যেধন ! তাই তোমায় আমি ডেকেছি। তুমি লক্ষ্মীর ভাণ্ডাবে ব’সে দারিদ্র বেছে নিচ্ছ, অমৃত *,মে গরল পান ক’রছ, তাই আমি এসেছি, সাবধান দুৰ্য্যোধন ! লালসা ত্যাগ কর-অদ্ববাজ্য অপণ ক’রে পাণ্ডবদের সঙ্গে সন্ধি করা। দুয্যোধন। আবাব সেই কথা ! মা ! * ! সন্তানকে ধৰ্ম্মশ্ৰষ্ট করবে !