আরােহণ করিয়া চতুর্দ্দিকে সংবাদ প্রচার করুক। উত্তরা কুমারীগণের সহিত উজ্জ্বল বেশ ধারণ করিয়া ভ্রাতার অভ্যর্থনার্থে প্রস্তুত থাকুক।
এই সকল উৎসবের আয়োজন অনুষ্ঠিত হইতে থাকিলে, মৎস্যরাজ প্রফুল্লমনে দ্রৌপদীকে কহিলেন—
হে সৈরিন্ধ্রি! এক্ষণে অক্ষ আনয়ন কর, অমি কঙ্কের সহিত দ্যূতক্রীড়া করিব।
যুধিষ্ঠির কহিলেন— আনন্দে বা অন্য কোনাে কারণে প্রমত্ত ব্যক্তির সহিত দ্যূতক্রীড়া অনুচিত; অতএব আপনি আমাকে অন্য কোন অভিলষিত বিষয়ে আদেশ করুন।
বিরাট কহিলেন—হে কঙ্ক! যদি আমার অভিলষিত দ্যূতক্রীড়াই না হইল, তবে অন্য আমোদে আমার প্রয়োজন নাই। দ্যূতক্রীড়ায় সর্ব্বস্ব প্রদান করিয়াও আমার কিছুমাত্র ক্লেশ বােধ হয় না, অতএব তোমার সঙ্কোচের কোন কারণ নাই।
কঙ্ক কহিলেন—মহারাজ! আপনি শুনিয়া থাকিবেন যে, মহারাজ যুধিষ্ঠির দ্যূতাসক্ত হইয়া রাজ্য হারাইয়াছিলেন। সেই অবধি দ্যূতক্রীড়া আমার নিতান্ত অপ্রীতিকর। যাহাহৌক আপনার যদি একান্ত অভিলাষ হইয়া থাকে, তবে আসুন আমরা ক্রীড়ায় প্রবৃত্ত হই।
দ্যূতারম্ভ হইলে বিরাট বলিতে লাগিলেন—
আজ কি সৌভাগ্যের বিষয় যে আমার আত্মজ সমরে সমগ্র কৌরবগণকে পরাজয় করিয়াছে।