২
এদিকে পৌরগণ পাণ্ডবদিগকে অশেষগুণসম্পন্ন দেখিয়া সর্ব্বদাই তাহাদের গুণকীর্ত্তন করিত। যেখানে জনকতক একত্র হইত, সেখানেই পাণ্ডবদের রাজাপ্রাপ্তিসম্বন্ধে আলোচনা হইত।
এই সকল কথোপকথন ক্রমে দুর্য্যোধনের কর্ণগোচর হওয়ায় তিনি যৎপরোনাস্তি ক্ষুব্ধ ও ঈর্য্যান্বিত হইলেন এবং সস্থর ধৃতরাষ্ট্রের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন—
হে পিতঃ! পৌরগণ আপনাকে ও ভীষ্মকে অতিক্রম করিয়া যুধিষ্ঠিরকে রাজ্য দিবার পরামর্শ করিতেছে। শুনিতে পাই ইহাতে রাজ্যপরাঙ্মুখ ভীষ্মেরও সম্মতি আছে। এ বিষয়ে উদাসীন থাকিলে আর নিস্তার নাই।
পুত্রের কাতরাক্তি শ্রবণে ধৃতরাষ্ট্র দোলাচলচিত্ত হইলেন, কিন্তু তথাপি অধর্ম্মভীতিনিবন্ধন কোনো কার্য্য করিলেন না।
কিন্তু দুর্য্যোধন নিশ্চিন্ত রহিলেন না। তিনি বন্ধু কর্ণ ও মাতুল শকুনির সহিত মন্ত্রণা করিয়া পুনরায় ধৃতরাষ্ট্রের নিকট আসিয়া বলিলে-
হে তাত! আপনি পাণ্ডবগণকে কোনো সুনিপুণ উপায়ে কিয়ৎকালের নিমিত্ত বারণাবৎ নগরে প্রেরণ করুন। এক্ষণে সমুদায় ধন ও অমাত্যবর্গ আমারই অধীন, আমি ইত্যবসরে উপযুক্ত উপায়ে পৌরগণকে বশীভূত করিয়া