আত্মপরিচয় প্রদান করিয়া ফেলেন, এই ভয়ে ভীমসেন অতিশয় অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজাজ্ঞা অমান্য করা অবিধেয় বিবেচনা করিয়া অগত্যা বাহুযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন।
প্রথমত বিরাটকে বন্দনা করিয়া তিনি ধীরে ধীরে রঙ্গে প্রবেশ করিলেন। তাঁহার বলিষ্ঠ দেহ দেখিয়া সকলেই হৃষ্ট হইল। পরে তিনি বিখ্যাতরিক্রম সেই জীমূতনামা মল্লকে আহ্বান করিলেন। তখন উভয় বীরের ঘোরতর সংগ্রাম বাধিয়া গেল।
তাঁহারা পরস্পরের ছিদ্রান্বেষণ-তৎপর হইয়া কখনও সাংঘাতিক বাহু প্রহার, কখনও মুষ্ট্যাঘাত, কখনও নিদারুণ পদাঘাত, কখনও বা মস্তকে মস্তকে সংঘটনপূর্ব্বক ভীষণ শব্দ উৎপাদন করিতে লাগিলেন। অনন্তর বলিশ্রেষ্ঠ ভীমসেন সেই তর্জ্জন গর্জ্জনকারী মল্লকে সহসা আয়ত্তের মধ্যে প্রাপ্ত হইয়া তাহাকে বলপূর্ব্বক উৎক্ষিপ্ত করিয়া ভূতলে নিক্ষেপ পূর্ব্বক নিষ্পিষ্ট করিলেন।
লোকবিশ্রুত জীমূতকে পরাজিত করায় ভীমসেনের সমাদরের আর সীমা রহিল না। তদবধি রাজা সর্ব্বদাই সিংহব্যাঘ্রাদি হিংস্রজন্তুর সহিত ভীমসেনকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করাইয়া তাহা পরম কৌতুকে অবলোকন করিতেন।