পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। গৌরীশঙ্কর রায়ের পৃথিবীতে থাকিবার মধ্যে ছিল বিস্তৃত জমিদারী ও প্ৰাণাপেক্ষা প্ৰিয়তম একমাত্র পৌত্র। নাতি অখিল“ চন্দ্ৰ কলিকাতাস থাকিয়া কেবলি পাশ করিতেছিলেন, আর ঠাকুরদাদা রায় মহাশয় ঊর্তাহার জমিদারীতে থাকিয়া কেবলই মামলা চালাইতেছিলেন । মামলার শেষ না থাকিলেও পাশের একটা শেষ আছে । সম্প্রতি পাশ করা। শেষ হইয়া যাওয়ায় অখিলচন্দ্ৰকে স্বগ্রামে ফিরিতে হইয়াছে । আষাঢ়ের সন্ধ্যাটা রায়েদের বৈঠকখানায় প্ৰত্যহ যেমন জমিয়া উঠে, আজ এখনও সেরূপ জমিয়া উঠে নাই। যাত্রা বসিবার পূর্বে যাত্রার অধিকারিগণ যেমন আকৃড়া দিতে থাকে, সেইরূপ কেবল ভট্টাচাৰ্য্য খুড়া ও রসিক মোহন, রায় মহাশয়ের সম্মুখে বসিয়। মওড়া দিতেছিল। ভট্টাচাৰ্য্য খুড়া উবু হইয়া বসিয়া ‘পূজা আহ্নিক করিলে মানুষের পরমায়ু বুদ্ধি করে, তাহারই বিস্তৃত ব্যাখা রায় মহাশয়কে শুনাইতেছিলেন, আর রসিকমোহন বিফল চেষ্টায় তাহার হস্ত হইতে হুকাটা লইবার জন্য বার বার হাত বাড়াইতেছিল। হুকার নলিচাসংবদ্ধ কড়িটা ভট্টাচাৰ্য্যা খুড়ার সাবধানতায় ক্রমাগত নড়িয়া সে যেমন রসিকমোহনকে বলিতেছিল,-“আরো অত ব্যস্ত হও কেন-একটু সবুর কর না ।” সেই সময় অখিলচন্দ্ৰ সেই কক্ষের ভিতর প্রবেশ করিলেন । তঁহার অঙ্গের সুচিকণ টেনিস সার্টটা আষ্টে-পৃষ্টে কাদার দাগ খাইয়া যেন বৃন্দাবনের নামাবলীর ভাব গ্ৰহণ করিয়াছে, পশ্চাতে R