পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ; চিন্তার ভিতরও রায় মহাশয় সেইটী কেবল বিস্মৃত হইতে পারেন নাই। বৈকাল হইতে না হইতেই তিনি ভূত্যকে গাড়ী জুতিয়া আনিবার জন্য আস্তাবল বাটীতে প্রেরণ করিলেন । অতি অল্প সময়ের মধ্যেই গাড়ী আসিয়া গেটের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইল। যথাসময়ে রায় মহাশয় পত্নীর সমাধি-মন্দিরের উদেশে বাহির হইয়া পড়িলেন । পত্নীর মৃত্যুর পর বহু অৰ্থ বায় করিয়৷ গৌরীশঙ্কর রায় নদীর একেবারে গর্ভের ভিতর, যেস্থানে তঁাতার পত্নীর শবদেহ দাহ হইয়াছিল তথায় এক সমাধি-মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন । মন্দিরের ভিতরে স্ফটিক প্রস্তরের এক মহাদেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সেই নির্জন নদীতীরে নানাবিধ পুষ্পবৃক্ষের ক্ষুদ্র উদ্যানে পরিবেষ্টিত হইয়া মন্দিরটি যেন একটা শান্তিকুঞ্জে পরিণত হইয়াছিল। এই সমাধি-মন্দিরের তত্ত্বাবধানের জন্য রায় মহাশয়ের মাসে মাসে কিছু নিয়মিত ব্যয় হইত। ক্ষুদ্র উদ্যানটী সজীব রাখিবার জন্য দুইজন ৷ মালি নিযুক্ত ছিল এবং মন্দিরের ঠাকুরের পূজার জন্য একজন পুরোহিত রীতিমত মাসিক বেতন পাইত । রায় মহাশয় যখন যাইয়া সমাধি-মন্দিরে পৌছিলেন তখনও সূৰ্য্য-অস্তের অনেক বিলম্ব ছিল, কিন্তু আকাশের পশ্চিম কোলে একখণ্ড কাল মেঘা জমাট, হইয়া সূৰ্য্যকে একেবারেই ঢাকিয়া ফেলিয়াছিল । গৌরীশঙ্কর রায় সমাধি-মন্দিরে প্রবিষ্ট হইয়া অগ্ৰে যাইয়া মন্দিরের দেবতার সম্মুখে মস্তক অবনত করিয়া প্ৰণাম করিলেন,- তাহার পর নদীর দিকে SS