পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। a r f তাহার উত্তর কি এই ঝড়ের গর্জনের মধ্যে পাওয়া যায় ? না, তাহা গৌরীশঙ্কর রায়ের হৃদয়াবেগেরই মত অবক্ত ? না একটা সত্য অঙ্গীকারকে, অন্ধকারের জাল ছিন্ন ভিন্ন করিয়া উষার আলোকের মত পরিষ্কার করিবার জন্যই, আকাশ বাতাসে এই মাতামাতি -এই রোষ-গৰ্জিত ক্ৰন্দন। পথহীন প্ৰান্তরের প্রান্ত হইতে, বাতাস কেবল “জাগো জাগো’? বলিয়া গৌরীশঙ্কর রায়ের কর্ণের পার্শ্ব দিয়া ছুটিয়া চলিয়াছে। একটা প্ৰবল প্ৰচণ্ড উদ্দীপনা !!-- কিসের উদ্দীপনা ? তাহা স্পষ্ট পরিষ্কার না হইলেও,-চারিদিক হইতে কেবল রব উঠিয়াছে জাগো ! জাগো ! জাগো ! সহসা সেই বািড়-বৃষ্টি ভেদ করিয়া একটী বালিকা আসিয়া সেই মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করিল,-তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আর একজন স্ত্রীলোক ছুটিয়া আসিয়াছিল। বায়ু-প্রবাহে ওলট পালট খাইয়া সে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করিয়া হঁপাইতে লাগিল । তাহার দমবন্ধ হইবার মত হইয়াছিল, সে একটু দাম লইয়া বিশেষ বিরক্ত ভাবে সেই বালিকাকে সম্বোধন করিয়া বলিল, “এখন কি করে বাড়ী যাবে বল দেখি ? অতি করে বায়ুম যে চল দিদিমণি, মেঘ করেছে বাড়ী ফিরে যাই,-কোন কথা তো কানে তোল না, ওই তোমার দোষ ?’ বাতাসের সেই মাতামাতি-বিশ্বের এই ওলট পালট ভাব দেখিয়া বালিকা যেন একটা আনন্দ উপভোগ করিতেছিল, সে দাসীর বিরক্ত মুখের দিকে চাহিয়া খিলখিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। এইটুকু ছুটিয়া আসিতে,-চোখে মুখে বালি ঢুকিয়া পরিচারিকাকে SS