কুল-বধু = ****క్కోతా కాతో ఈ কথাগুলি শুনিয়া রায় মহাশয়ের বৃদ্ধ প্ৰাণটা সহসা গলিয়া যেন স্নেহরসে উথলিয়া উঠিতে লাগিল। বালিকা আসিয়া তাহার অতি সন্নিকটেই বসিয়াছিল, তিনি স্নেহ কম্পিত স্বরে বালিকাকে আবার প্রশ্ন করিলেন, “তোমার নাম কি ?’ রায় মহাশয়ের প্রশ্নে মেঘে ঢাকা চাদের ক্ষীশ জোছনার মত মধুর হাসি বালিকার সমস্ত মুখখানিতে ভাসিয়া উঠিল - সে রায় মহাশয়ের মুখের দিকে চাহিয়। বলিল, “আমার নাম পুষ্প ! আমার বাবার নাম ৬/রাতন চন্দ্ৰ বসু। তুমি এই গায়ে থােক, তঁর নাম শোননি ?” বালিকার কথায় গৌরীশঙ্কর একেবারে স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। তঁহার প্রাণের অন্ধকারের ভিতর য! হা এতক্ষণ উকি ঝুকি মারিতে ছিল, এক্ষণে যেন তাহার চারিপাশ্বের্ণ উজ্জ্বল আলোক প্ৰজ্বলিত হইয়। তাহা একেবারে স্পষ্ট ধ্রুব সত্য হইয়! গেল । বালিকার সাজ সজা ও সঙ্গে পরিচারিকা দেখিয়া{ষ্ট রায় মহাশয় যাহা ধারণা করিয়াছিলেন, সেটা সত্য। কিনা তা হাঁহ জানিবার চেষ্টায় বালিকার নামটা জিজ্ঞাসা করিসিাছিলেন, কিন্তু বালিকা একেবারে তাহার পিতার নাম বলিয়। সেই সন্দেহটার এমনই সোজা মীমাংসা করিয়া দিল যে গৌরীশঙ্কর রায়কে কিছুক্ষণের জন্য হতভন্ধের ন্যায় বালিকার মুখের দিকে চাহিয়া থাকিতে হইল । পুষ্প ধুদ্ধের এই বিস্মিত ভাব লক্ষ্য করিয়া ভাবিল-বুঝি সে &াহার পিতার নাম অবগত নয় বলিয়াই এমন অপ্ৰস্তুত হইয়া পড়িয়াছে। তাই সে তাড়াতাড়ি বলিল, “তা তুমি আমার বাবার নাম শোননি, তাতে আর হয়েছে Re
