পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। Is é a ailte is is ileir উঠায় তিনি একেবারে বিভোর হইয়া গিয়াছিলেন । আজ পাঁচিশ ছাব্বিশ বৎসর পূর্বে এমনি একখানি ক্ষুদ্র মুখ তিনি এমনিভাবেই দেখিয়াছিলেন। জননীর সমস্ত রূপ লইয়া,-সে। তঁহার বধুমাতা হইবার জন্য,-রায়েদের কুলবধুর আসন গ্ৰহণ করিতে আকুল আগ্রািজ হাত বাড়াইয়াছিল, কিন্তু তিনি পঁচিশ বৎসর পূর্বে স্বতেজ রক্তের অন্ধগর্বে জননীকে দ্বার হইতে ফিরাইয়া দিয়াছিলেন । আজ সেই কথাটা মনে পড়ায় একটা তীব্ৰ অনুশোচনায় বৃদ্ধের প্ৰাণের ভিতরটা যেন ধিক্কার দিয়া উঠিল । একটা বুকভাঙ্গা নিশ্বাস হৃদয়ে তুমুল ঝড় তুলিয়া বাহিরে বাহির হইয়া আসিল । বালিকার কথায় তিনি আর উত্তর খুজিয়া পাইলেন না-নীরবে: তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন । চিন্তার কালো ছায়ায় র্তাহার সমস্ত মুখখানা আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল। পুষ্প বৃদ্ধের এই ভাবান্তর লক্ষ্য করিয়া বলিল, “তুমি কি ভাবছ! কেমন করে বাড়ী যাবে !! তার জন্য তোমার কোন ভাবনা নেই, আমি তোমায় লোক দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেব।” রায় মহাশয় এবার মৃদু হাসিলেন ;- বিলিলেন, আমি বুড়ো হয়েছি বটে, কিন্তু এখনও চোখে দেখতে পাই । চল্লিশ বৎসর বয়সে একবার চখে চালাসে ধরেছিল বটে, কিন্তু এখন সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। একবার ভুল করেছি, কিন্তু আর ভুল কাবুবে না।” পুষ্প মৃদু হাসিয়া বলিল, “তুমি বুঝি রাস্তা ভুলে এখানে এসে পড়েছ ? তাহ’লে এখন কি করে রাস্তা চিনতে পারবে ? আবার ভুল কাবুবে না তো ?” ASNO