পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। Aro lurraro", ha, ATA করিয়া বলিল, “হুজুরের গাড়ী কি এখনও এসে পৌছায়নি । গাড়ীর জন্য কি হুজুরের বাড়ীতে খবর দিতে হবে ?” রায় মহাশয় গম্ভীর ভাবে বলিলেন, “নী-তোমরা তোমাদের দিদিমণিকে নিয়ে যাও । আমার গাড়ী এলো বলে।’ তখন ঝড় একে পারেই থামিয়া গিয়াছিল, -বৃষ্টিও অনেকটা ধরিয়া আসিয়াছিল। ছাতায় সৰ্ব্বাঙ্গ আচ্ছাদিত করিয়া, জীর্ণ ভগ্ন লণ্ঠন হস্তে—সেই সময় মন্দিরের পুরোহিত তঁহার নৃত্য বেগার সারিতে তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন--তিনি রায় মহাশয়কে সম্মুখে দেখিয়া একটু জড়সড় হইয়া বলিলেন, “রায় মশাই যে ! কখন এলেন ? বািড় বৃষ্টিতে নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে।” নফরের ভাব-ভঙ্গি দেখিয়াই পুষ্পের সন্দেহ হইয়াছিল, এক্ষণে পুরোহিতের মুখে “রায় মহাশয়’ শুনিয়া সে যেন কেমন সঙ্কোচিত হইয়া পড়িল। সে একবার মাত্র বঙ্কিম-দৃষ্টিতে রায় মহাশয়ের আপাদমস্তক লক্ষ্য করিল । রায় মহাশয়ের পদধূলি গ্ৰহণ করিবার জন্য তাহার ব্যাকুল ইচ্ছাসত্ত্বেও একটা মহা সঙ্কোচ আসিয়া তাহাকে আর এক পদও অগ্রসর হইতে দিল না। সে অবনত মস্তকে চুপ করিয়া এক পার্শ্বে দাড়াইয়া রহিল। সেই সময় চারিদিকে আগমনবাৰ্ত্তা প্রচারিত করিয়া দূরে রায় মহাশয়ের জুড়ীর গম গম শব্দ ধবনিত হচিল ।