পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলী-খণু . . . . . . . . . যাইতেছিল, তখন এই একটিমাত্র স্নেহধারা আবার ধীরে ধীরে র্তাহার হৃদযে প্রবাহিত হইয়া বিশ্বে তঁাহাকে সঞ্জীবিত করিয়া তুলিয়াছিল,-যখন সমস্ত আলো নিবিয়া যাওয়ায় তিনি অন্ধকারে কেবল হাতড়াইয়া মরিতেছিলেন, তপন এই একটিমাত্র আলো প্ৰজ্জ্বলিত হইয়া ভঁাহার চক্ষের সম্মুখে এক অপরূপ সৌন্দৰ্য্য ছড়াইয়া দিয়াছিল । তাহাকে তাহার আদেয় সংসারে কি থাকিতে পারে ? তাহার জন্য তিনি না পারেন। কি ? দাদা মহাশয়কে সম্মুখে দেখিয়া অখিলচন্দ্ৰ তাহার চিন্তাস্রোতের মুখে তাড়াতাড়ি একটা বিস্মৃতির বাধ বসাইয়া দিয়া উঠিয়া বসিয়াছিলেন । দাদা মহাশয়কে দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া তঁহকে বসিবার আসন ছাড়িয়া দিয়। উঠিয়া দাড়াইলেন ; মৃদু। হাসিয়া বলিলেন, “দাদ। মশায় কখন ফিরলে ? আমি ভাবছিলুম। বুঝি তুমি আর আজকে ফিরবে না। ঝড় বৃষ্টিতে ঠাকুমার পাশেই রাত কাটাবে !” একটা পুরাণ স্মৃতির সজোর আঘাতে বুদ্ধের হাড় কখানা যেন একবার নড়িয়া উঠিল । তিনি অখিলচন্দ্রের পরিত্যক্ত আরাম কেদারায় বসিতে বসিতে বলিলেন, “ভায়া, আমি তো তোমার ঠাকুমার পাশে অনেক রাতই কাটিয়েছি, তার জন্যে তো দুঃখ নেই, দুঃখ এই তুমি যার পাশে রাত কাটাবে তাকে তোমার পাশে দিয়ে যেতে পারলুম না।” একটা দীর্ঘনিশ্বাস বুদ্ধের নাসিকপথে বাহির হইয়া আসিল, বৃদ্ধ নীরব হইলেন। অখিলচন্দ্ৰ গৃহের ভিতর হইতে একখানা Vso