পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। মেজের উপর দৃঢ়কায় যে কয়জন লোক বসিয়াছিল তাহাদের ভিতর যে বয়োজ্যেষ্ঠ সে ভড়ের দিকে মুখ তুলিয়া চাহিল, তাহার দুইটা চোখ বাঘের মত জ্বলিতেছিল । সে গম্ভীরভাবে বলিল, “হুজুর যদি অন্য কারো কথা হতো, তাহ’লে ওই মামাবাবুর হুকুমেই এতক্ষণ তার মাথাটা ফাক করে দিয়ে আসতুম। কিন্তু রায় মশাই যে কি তার হুসেটা রেখেছেন কি ? রাণীমার নিজের মুখের হুকুম না শুনলে এ কাজে আমরা হাত দিতে পারি না।” কালি ভড় আর রাগ সামলাইতে পারিল না। দুই ঘণ্টাকাল নান। ভজং লােগাইয়াও সে এই বাগদী কয়টাকে কিছুতেই জুত করিয়া আনিতে পারিতেছিল না । সে তাহদের কথার মাকখানেই চেচাইয়া কহিল, “রাণীমার মুখের হুকুম পেলেই কি রায় মশায়ের বল কমে যাবে, না তোদের আর দুটো ক’রে হাত বেরুবে ?” যে লোকটা এইমাত্ৰ কথা কহিয়াছিল। সে অতি কৰ্কশকণ্ঠে বলিল, “রায় মশায়ের জোরও কমবে না, দুটো হাতও বেরুবে না। তা জানি হুজুর । কিন্তু রাণীমা মুখ ফুটে হুকুম দিলে এ রকম দু দশটা প্ৰাণ আমরা অনায়াসেই দিতে পারি।’ ভড় বিকৃত মুখে তারিণীচরণের দিকে চাহিল, সে যেন একটু বিরক্তভাবে কহিল, “তুমি একবার ভালো করে মণ্ডলের পোদের বুঝিয়ে বল যে হুকুমটা কার! বাবাজী তুমি যে একেবারে চুপ করে রইলে ।।’’ ভগ্নীর নিষেধ সত্ত্বেও তারিণীচরণ স্থির থাকিতে পারে নাই । v)(