পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। আবার ধীরে ধীরে আরম্ভ করিল, “আমি তাকে একটা বাজে বুড়ো লোক মনে ক’রে ভেবেছিলুম বুঝি পথ ভুলে বৃষ্টি ঝড়ে মন্দিরে এসে ঢুকেছে তাই জিজ্ঞাসা করলুম, বাড়ী যেতে পারবে তো, পথ ভুল হবে নাতো ? তার উত্তরে তিনি বল্লেন “চল্লিশ বৎসর বয়সে একবার চালাসে ধরেছিলো, তাই ভুল করেছিলুম, এখন ছানি কেটে গেছে, আর ভুল হবে না !” এর মানে কি মা ?” কন্যার কথায় মধ্যাহত সূর্য্যের মত অকস্মাৎ যেন কমলরাণীর হৃদয় মধ্যে একটা কথা| দীপ্ত হইয়া উঠিল । কথাটার প্রচণ্ড উত্তাপে তাহার সমস্ত জীবনাশভিজ্ঞ যেন শুষ্ক হইয়। গেল । তাহার সমস্ত অঙ্গটা যেন একবার কম্পিত হইল! মৃত্যুর পূর্বে যেমন জীবন প্ৰদীপ একবার প্রবলভাবে জলিয়া উঠে, সেইরূপ কমলরাণীর গত প্ৰাণ নিজীব আশাটা যেন একবার শেষ সজাগ হইবার চেষ্টা করিল, কিন্তু পরীক্ষণেই তাহ আবার নিরাশার অন্ধকারময় কূপে ডুবিয়া গেল। তিনি আকুল আগ্রহে কন্যাকে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি বল্লেন চল্লিশ বৎসর বয়সে একবার ভুল হয়েছিলো, এখন আর ভুল হবে না ?” পুষ্প মায়ের ভাব দেখিয়। ভয় পাইয়াছিল । সহসা মায়ের এ ভাব হইল কেন । সে বিস্মিতের ন্যায় তাহার মায়ের মুখপানে চাহিয়া ধীরে ধীরে বলিল, “হা, মা, “কিন্তু এ কথায় তোমার মা এমন মুখের ভাব হ’লো কেন, এর সঙ্গে তোমার কি কোন সম্পর্ক e. ’’ কমলরাণী নিজেকে সংযত করিয়া ফেলিলেন । কুৰ্ম্ম যেমন እ8ዓ