পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ । তিন সেকেণ্ডের মধ্যে । সময়টা খুব লম্ব আছে ব্যস্ত হবার কিছু কারণ নেই। তবে ক’নে আনবার বন্দোবস্ত করা এইবার দরকার বটে ।” পুষ্পকে ভিতর তাইতে আনিবার জন্য তারিণীচরণ উঠিতেছিলেন, সেই সময় একখানা গাড়ী আসিয়া বোসেন্দের ফটকে দণ্ডায়মান হইল। পল্লীগ্রামে গাড়ীর রেওয়াঙ্গ নাই বলিলেই হয়। সহসা ফটকে গাড়ী দি, ড্রাইতে দেখিয়া, গাড়ী করিয়! আবার কে আসিল জানিবার জন্য সকলেই একটু উদগ্রীব হইয়া পড়িল । তারিণীচরণ বেশ একটু ব্যস্ত হইযা বলিল, “দেখ তো চক্ৰবৰ্ত্তী, এই ও বাবান্দায় থেকে উকি মেব্রে-কে এলে । পায় মহাশয়ের গাড়ী রেল রোধ হচ্ছে না ?” রায় মহাশয়ের গাড়া শুনিয়াই গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর বুকটা একেবারে ধড়াস ধড়াস করিয়া উঠিয়াছিল। তারিণীচরণের কথায় সে বেশ একটু ভীতভাবে গাড়ী হইতে কে নামে,-বারান্দা হইতে দেখিবার জন্য গুহ হইতে বাহির হইল। বারান্দায় উপস্থিত হইয়া গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী সম্মুখে যাহা দেখিল তাহাতে তাহার অন্তঃরাত্মা খাচা ছাড়িবার চেষ্টা করিল। কোন নিকট আত্মীয় ব্যক্তির মৃত চেহারাটা সম্মুখে দেখিলেও সে এত ভীত বা বিহবল হইত না । সে আর তথায় এক মুহূৰ্ত্তও দাড়াইতে পারিল না, কোনক্রমে চক্ষু বুজিয়া বৈঠকখানার ভিতর একেবারে যেন বাপাইয়া পড়িয়া একটা কোন দখল করিবার চেষ্টা করিল। তাহার ভাব দেখিয়া বৈঠকখানাস্তিত সকলেই বিশেষ বাস্ত হইয়া উঠিয়াছিল। তারিণীচরণ چ6)