পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

རྗེ་ཨའོ་ regemeenteerder কক্ষের সম্মুখে আসিয়া রায় মহাশয় দাড়াইলেন । দ্বারের অন্তরাল হইতে কমলরাণীর দৃষ্টি সেই প্রশান্তমূৰ্ত্তির উপর পতিত হইল। শুভ্ৰ কেশমণ্ডিত মস্তক, শুভ্ৰ বসন পরিহিত-বুদ্ধের স্থবীৱ প্ৰাণটা বেণ্ঠন করিয়া যৌবনের পরিপূর্ণ লাবণ্য তঁহার মুখশ্ৰীকে এখনও পরিত্যাগ করে নাই-আথচ তাহার অন্তরাত্মা হইতে যেন একটা ধ্যান-পরতার গাম্ভীৰ্য্য তঁহার চতুর্দিকে বিকীর্ণ ЗšCSCE i রায় মহাশয় দ্বারের সম্মুখে আসিয়া স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া* ছিলেন । আজ তাহার প্রাণের ভিতর যে ভাষণ ঝটিকা প্ৰবাহিত হইতোছািল-তাহার বেগ হৃদয়ের মধ্যে প্রশমিত রাখিতে যেন তাহার সমস্ত শক্তি, সমস্ত চেষ্টা প্ৰাণপাত করিতেছিল। বুদ্ধের চঞ্চল দৃষ্টি একবার দ্বারের দিকে পতিত হইল,—তাহার গম্ভীর গল হইতে একটা গম্ভীর স্বর ধীরে ধীরে নিঃসৃত্যু ত হইল, “মা ! আজ স্থবীর বৃদ্ধ গৌরীশঙ্কর রায় তার পাকা চুল নিয়ে তোমার দ্বারে অতিথি। তুমি বোসেদের কুলবধু,-হিন্দু-কুলবধূর শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম সবই তো মা তোমার পরিজিনাত । তোমার দ্বারে এসে নিশ্চয়ই ম৷ অতিথি কখনও নিরাশ হয়ে ফিরে যাবে না।” আবেগে বুদ্ধের স্বর গাঢ় হইল,-তিনি যেন নিজেকে একটুখানি সংযত করিয়া লইবার জন্ত নীরব হইলেন। কমলরাণীর কর্ণের ভিতর রায় মহাশয়ের এই সুস্পষ্ট কথাগুলি দেবতার বাণীর মত মহিমান্বিত হইয়া একে একে ধীরে ধীরে প্রবেশ করিতেছিল। জগৎ যেন তাহার চক্ষুর সম্মুখে ধীরে ধীরে অস্পষ্ট is Vo