পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু ! অখিলচন্দ্র মাথ। চুলকাইতে চুলকাইতে বলিলেন, “দাদা মশাই মোটেই অবসর পেলুম না। তার নাম ধাম জানিবার কিন্তু আমি বিশেষ চেষ্টা করেছিলেম। কি করবো বিশেষ কিছুই সুবিধা কৰ্ত্তে পারলুম না।” রায় মহাশয় এবার হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন, বলিলেন, “খুব ভাল ! সমস্ত দিন তার সঙ্গে এক যায়গায় থেকে তার নামটাও জেনে আসতে পােরনি ।” সন্ধ্যা উৎত্তীৰ্ণ হইয়। গিয়াছিল, ভূতা কক্ষে আলো দিয়া গেল । বায় মহাশয় আরও কি বঞ্চিলতে যাইতেছিলেন সেই সময় রসিক মোহন ঘরের মধ্যে প্ৰবেশ করিল । তাহার নগ্ন গাত্রে কেবল মাত্র একখানা চাদর । বাম হস্তে একটা ভাঙ্গা টিনের লণ্ঠন, দক্ষিণ হস্তে একটা মোটা বংশের লাঠি । রসিক সম্মুখে প্ৰকাণ্ড মাছ দেখিয়! একেবারে লাফাইয়া উঠিল, এক গাল হাসিয়া বলিল, “দেখুন ছোটবাবু আমার কথা ফললো কি না। এত পুকুর তো ঘুরছিলেন এমনটি কোথাও হয়েছিল ! একি মাছ, যেন একটা কুমার। বড়কৰ্ত্তা, মাছটা কোটবার হুকুম হয়ে যাক। বড় বড় খানকতক দাগ নিযে যেতে হবে ।” রায় মহাশয় ভূত্যকে মাছটা কুটিবার জন্য বাটীর ভিতর লইয়া, যাইতে আজ্ঞা করিলেন । রসিক ফরাসের একাধারে বসিতে বসিতে অখিলচন্দ্রের দিকে ফিরিয়া বলিল, “ছোটবাবুর মুখখান ভার ভার ঠেকছে কেন ?" অখিলের হইয়। রায় মহাশয় উত্তর দিলেন, “ওই মাছটাই ܢ ܣ