পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু 弘 "ت= মানুষের গর্বের বল,-অহঙ্কারের বল বা কিছু তা সবই তো তার সেই শ্বশুরবাড়ী। বাপের রাজভোগের চেয়ে স্বামীর শাকভাত যে নারায়ণের প্রসাদের চেয়েও পবিত্ৰ ।। ঘর জামায়ের হাতে আমি পুষ্পকে কিছুতেই দেব না। তুমি গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীকে বল, তিনি এমন একটী পাত্রের সন্ধান করুন, যার মা বাপ আছেবার-বাড়ী আছে,-যাকে জামাই বলতে প্ৰাণে আনন্দ হয়।” তারিণীচরণের বরাবরই ইচ্ছা পুষ্পের সহিত কোন গরীবের সন্তানের বিবাহ হয়। তাহা হইলে তাহাকে আর এই মৌরসী আসন হইতে নড়িতে হয় না । গরীবের সন্তান সে জমিদারীর কিছুই বুঝিবে না, তাঙ্গাকে নাম মাত্র খাড়া রাখিয়া সে নিজেই জমিদার হইয়। বসিতে পারে । জমিদারীর সংক্রান্তে আসিয়া জমিদার যে কি চিজ, তাহা জানিতে তারিণীচরণের বাকী নাই। যদি কোন জমিদারের পুত্রের সহিত পুষ্পের বিবাহ হয তাহা হইলে তাহার সমূহ বিপদ।। কমলরাণী যে কয়দিন,- তাহার পর তাহাকে একেবারে পথে বসিতে হইবে । কাজেই তাহার ভগিনীর এই গোলমেলে কথাগুলা তাহার কণে একেবারেই বেসুর। বাজিয়া উঠিল, সে যেন একটু ক্ষুন্নভাবে বলিল, “ —“তা তুমি যেমন ইচ্ছে করবে। তেমনিই হবে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এই, যদি কোন বড় লোক ব৷ জমিদারের ছেলের সঙ্গে পুষ্পিপুর বিয়ে হয় তা হ’লে তোমার এই এত সাধের স্বামীর বাড়ী-শ্বশুরের ভাটে দু'দিনে বাদুড় চামচিকের বাসা হবে। তারাতে আর তোমার মেয়েকে এখানে ফেলে রাখবে না।” R