পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ । কথা তাহার কণ্ঠ নালিতে ভিড় করিয়া মারামারি বাধাইয়া দিল। সকলেই সকলের অগ্ৰে বাহির হইবার জন্য পরস্পর পরস্পরকে দলিত পিষ্ট করিতে লাগিল । শেষ যেন কতকটা গলদঘৰ্ম্ম হইয়া বেশ একটু তীব্ৰ ভাবে বাহির হইয়া আসিল, “আর কথায় কাজ কি ; তোমাদের যা ভদ্রতা তা বেশ বোঝা গেছে।’ সহসা পুষ্পকে ছুটিতে দেখিয়া পরিচারিকাও ফিরিয়াছিল, সে যখন দেখিল, পুষ্প যাইয়া একজন অপরিচিত যুবকের হস্ত ধরিল, তখন তাহার একেবারে আকেল গুড়ুম হইয়া গেল। সে নিকটে আসিয়া বলিল, “বলি দিদিমণি ! রাস্তা ঘাটে কি এমন বেহায়াপান उछाgा ?' অখিলচন্দ্রের কথাগুলার রুক্ষ আওয়াজে পুস্প একেই একটু দমিয়া গিয়াছিল, তাহার উপর পরিচারিকার কথায় সত্যই তাহার ভারি রাগ হইল, সে বিরক্ত ভাবে বলিল, “তোমায় আর সব কথায় সরদারী কৰ্ত্তে হবে না। আমি তো তোমার ঝি নাই-তুমিই কামার दि ।' কথাটার সতেজ আওয়াজ দাসীকে একবারে কাবু করিয়া দিল । সে মুখখান কালি করিয়া, “যা ইচ্ছে কর বাছা, আমার তাতে কি,” বলিয়া অন্য দিকে মুখ ফিরাইয়া ধপাস করিয়া সেই বালির উপর বসিয়া পড়িল । ৫ পুষ্প সে দিকে মোটেই লক্ষ্য না করিয়া অখিলচন্দ্রের মুখের দিকে মুখ তুলিয়া মৃদু হাসিয় বলিল, “আংটিটা হেরে গিয়ে বাড়ীতে বুঝি খুব বোকুনি খেয়েছ! তাই বুঝি রঞ্জা হয়েছে! তা তুমি যদি SOS