পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। দিন, বোসেন্দের সঙ্গে রায়েদের চিরদিনের মত বাদ-বিসম্বাদ মিটে ষাক। আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, তার নাতি পাচ পাঁচটা পাশ করেছে। পাত্র আপনার কন্যার অনুপযুক্ত নয়।” রসিকমোহনের আগমন ব্যাপারটা খুড়ীর কর্ণেও গিয়াছিল,-- দু” কথা ভাল করিয়া শুনাইয়া দিতে হইবে, একথাটাও তিনি শুনিয়াছিলেন, তাই নিঃশব্দে আসিয়া রসিকের পশ্চাতে দাড়াইয়া তাহারই সুবিধা খুজিতেছিলেন ড. রসিকের বক্তব্য শেষ হইবামাত্র তিনি সম্মুখের দিকে সরিয়া আসিয়া রসিকের মুখপানে চাহিয়া বলিলেন, “তুমি বাপু গৌরীশঙ্কর রায়ের লোক না ?” সহসা রঙ্গস্থলে এ আবার কোন মুক্তি-রসিক ঠিক ঠাওর করিতে পারিল না, সে বিস্মিত হইয়া খুড়ীর মুখপানে চাহিতে লাগিল। খুড়ী রসিককে নীরব থাকিতে দেখিয়া নিজেই আবার আরম্ভ করিলেন, “তা না হ’লে এমন বেহায়া পুরুষ মানুষ আর কে হবে ? যেমন মনিব, তেমনি তার লোক । বোসেন্দের বাড়ী ঢুকৃতে একটু সরাম হ’ল না ?” একেবারে খুড়ীকে রসিকের সম্মুখে বাহির হইয়া পড়িতে দেখিয়া তারিণীচরণের যেন একটু লজ্জা হইল। সে তাড়াতাড়ি বলিল, “কি বক্‌চ খুড়া ? তুমি তোমার নিজের কাজে যাও না।” কিন্তু খুড়ী বুঝিলেন অন্যরূপ। তিনি ভাবিলেন, আরো একটু চড়া পরদায় ধরিবার জন্য তঁহার দেবরপুত্ৰ ইঙ্গিত করিল। তাই তিনি তাহার রসনায় আরো খানিকটা হলাহল মাখাইয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন, “কোন ভয় কিসের ? আমরা 59