পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। ভাবে ভ্রাতার মুখের দিকে চাহিলেন। তারিণীচরণ মহা ব্যস্ত হইয়া বলিল, “কমল, আমি একেবারে পাত্ৰ আশীৰ্ব্বাদ করে এলুম। সুন্দর ছেলে, অতি সৎবংশ, যত্ন খাতির আমায় যথেষ্টই করেছে। আগামী মাসের ১৮ই দিনটা নাকি খুব ভালো, তাই সেই দিনই বিয়ে স্থির করে এলুম।” তারিণীচরণ কথাগুলা এমনি তাড়াতাড়ি বলিল, যে কথা, গুলা অৰ্দ্ধেক বাহির হইল, অৰ্দ্ধেক মুখের মধ্যেই রহিয়া গেল। কমলরাণী এতক্ষণ নীরব হইয়া ভ্রাতার মুখের দিকে চাহিয়া কথাগুলা শুনিতেছিলেন,-কিন্তু কিছুই ভালো পরিষ্কার বুঝিতে না পারিয়া ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আশীৰ্বাদ করে এলে । কাকে আশীৰ্বাদ করে এলে দাদা-কার বিয়ে ?” ভগ্নীর কথায় তারিণীচরণ যেন একেবারে আকাশ হইতে পড়িলেন, বেশ একটু অবাক হইয়া বলিল, কাকে আশীৰ্ব্বাদ করে এলুম কি ! পাত্ৰকে আশীৰ্ব্বাদ করে এলুম। সেই যে পাত্ৰটীর কথা গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী বলেছিল। খাসা পাত্র, যখন জামাই দেখবে তখন তোমায় নিশ্চয়ই বলতে হবে, না দাদা একটা জামাই করে দিলে বটে। যেমন চরিত্র-তেমনি বিদ্যে বুদ্ধি !” কমলরাণী এতক্ষণে সমস্তটা বুঝিতে পারিলেন। তঁহাকে বিন্দুমাত্র কোন কথা না জানাইয়া একেবারে পাত্ৰ আশীৰ্ব্বাদ করিয়া আসায় তিনি ভ্রাতার উপর মোটেই সন্তুষ্ট হইতে পারিলেন না। যেন একটা তীব্ৰ অভিমান আসিয়া তাহার প্রাণের ভিতরটায় সজোৱে আঘাত করিল, তিনি অতি স্নান ভাবে বলিলেন, “দাদা !