পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। সে উঠিয়া দাড়াইয়াছিল, বলিল, “আমি যখন ভার নিয়েছি বোন, তখন তুমি নিশ্চিন্ত থাক। জামাই দেখে যদি পছন্দ না হয়, তখন তোমার যা ইচ্ছে আমায় ব’লো। মোটে আর কুড়ি বাইশ দিন সময় আছে, এরই মধ্যে সব বন্দোবস্ত ঠিক কৰ্ত্তে হবে। আমাদের সাত নয়। পাচ নয় একটা মেয়ে-সবই কৰ্ত্তে হবে। আমি চল্লেম, সন্ধ্যায় পর ধীরে সুস্থে বসে সে বিষয় একটা পরামর্শ করা যাবে।” । তারিণীচরণ চলিয়া গেল, কমলরাণী আকাশ পাতাল ভাবিতে লাগিলেন । তাহার একটা মাত্ৰ কন্যা, তাহার সুখ দুঃখ যাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিতেছে-তাহার গুরুত্বটা এত বড় যে তাহ। তিনি প্ৰাণের ভিতর অ্যাটিয়া উঠিতে পারিলেন না ! ভাবনার পর ভাবনা আসিয়া তাহাকে একেবারে ভাবনার বাহিরে আনিয়া ফেলিল। তঁহার প্রাণের ভিতর হইতে একটা তপ্ত নিশ্বাস বাহির হইয়া বাতাসের সহিত মিশিয়া গেল। তাহার বড় ইচ্ছা ছিল, কোন বড় লোকের বিদ্বান পুত্রের সহিত কন্যার বিবাহ দিবেন, কিন্তু আজ সেই ইচ্ছাটাকে জোর করিয়া মুছিয়া ফেলিতে র্তাহার নয়নে অশ্রু উথলিয়া উঠিল, কন্যার অকল্যাণ হইবার আশঙ্কায় তিনি তাড়াতাড়ি তাহ অঞ্চলে মুছিয়া ফেলিলেন, মনে মনে বলিলেন, বিশ্বনাথের মনে যা আছে তাই হবে। রামজীবনপুরের অতি সন্নিকটে একটা শিবের মন্দির আছে। মন্দিরটা ‘বুড়ো-শিবের মন্দির বলিয়। প্ৰসিদ্ধ। মন্দিরটা বহু প্রাচীন-ক’ত কাল হইতে এই মন্দিরে ; বুড়ো শিব অবস্থান করিতেছেন, তাহ কেহ বলিতে পারে না ! মন্দির সম্বন্ধে বহু ピ>