( ) ) গু বৃক্ষ দ্বারা তত্রস্থ খাঁকড়ার বনটা আচ্ছাদিত ছিল, তাহীদের শাখার উপরে শিকারিলোকের বসিয়া রহিয়াছে,নীলবর্ণ কুজৰাটিক দ্বার চারিদিক আচ্ছন্ন হইল, হরিদ্বর্ণ পাতার সহিত কুয়াস মিশ্রিত হইয়া জলের উপরিভাগে যেন লিপ্ত হইয়া রহিল । এমভ সময়ে এক দল কুকুর ঐবাদায় আসিয়া উপস্থিত, সপাৎ সপাৎ শব্দ পুৰ্ব্বক তাহার। চলিয়। যাওয়াতে বাদাতীরস্থ থাকড়ার এবং বেতের ঝাড় সকল চারি দিকেহেলিয়। পড়িল । অভাগ৷ কুৎসিত হংসুশাবকের ভয়ের আর পরিসীমা নাই, কি কৱিৰে কোথায় য’ইবে, ভাবিয়া কিছু স্থির করিতে পারিল না, অনেক ভাবনার পর সে আপনার মস্তকটিকে ডানীয় ল কাইয়। রাখিল। এমত সময়ে একটা ভীষণ মূৰ্ত্তি, কুঙ্কর আপনার লম্ব। জিহাট। লক্ লক্ শব্দে বহিগত করিয়া তথায় উপস্থিত হইল,তাহার ডেবর ডেবর। চক্ষু দুটা প্রজ্বলিভ শিখর ন্যয় জ্বলিতেছে, মুখ ব্যাদান পূৰ্ব্বক তীক্ষ দন্ত বহির্গত করিয়া যেন ঐ অভাগ| হংস শাবককে এক গ্রাসেই ভক্ষণ করিতে উদ্যত হইল, কিন্তু আশ্চর্য এই সে শে। শো শব্দে চলিয়। গেল, উহাকে কিছুই বলিল না। অতঃপর হংস শীর্বক বলিতে লাগিল, “যাহাহউক প্রাণরক্ষ হইল এখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ করি, ছি আমি এত কুৎসিত, যকুক্করেরাও আমাকে দংশন করিল না।’, •সে মস্তক নত করিয়া স্থির ভাবে ঝোপের মধ্যে বসিয়া আছে,এদিকে গুলির শব্দে ও ধূমে ৰেভবনটা একেবারে অন্ধকার হইল, ওদিকে শূন্যমার্গে এমনি পটাস, পটাস শব্দ হইতেছে যে কান পাতিবার যে নাই ।
