পাতা:কুৎসিত হংসশাবক ও খর্ব্বকায়ার বিবরণ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৪৯ ) রিতে পাইবে, ছুচার স্ত্রী হইলে কিছুরই অতাব থাকিবে না । এইরূপে থৰ্ব্বকায়। সুতা কাটিভে বাধিত হইল, ক্ষেত্রমুষিকও চারিট মাকড়সাকে নিযুক্ত করিয়; দিন রাত্রি তাহার জন্যে কাপড় বুনাইতে লাগিল । প্রতিদিন সন্ধ্যাকালে ছুঁচা আসিয় তাহর সহিভ সাক্ষাৎ করিত এবং সৰ্ব্বদ। কহিত গ্রীষ্মের অবসান হইলে স্থৰ্য্যোভাপ দূর হইবে, এক্ষণে ভূমি সকল উত্তপ্ত হইয়। প্রস্তরবৎ কঠিন হইয়াচুে। এই দুরন্ত কাল যাউক, তবে খৰ্ব্বকায়াকে বিবাহ করিব । কিন্তু ঐ দুষ্ট ছুচার কথা সে সহ করতে ন পারিয়া অতিশয় অসন্তুষ্ট হইত। প্রতিদিন সুৰ্য্যোদয় এবং স্থৰ্য্যাস্ত কান্ত্রিন সে লুকাইয়। গৰ্ত্তদ্বরের বহিগত হইত। বায়ু সঞ্চালন দ্বারা যবের শীষ গুলীন এথার ওধার পড়িলে নীলবর্ণ আকাশ তাহীর চক্ষুগোচর হইত। ইহাতে সে মনে ২ চিন্তা করিয়া কহিত হায় ! চতুর্দিক কেমন , নিৰ্ম্মল এবং মুন্দর দেখিতেছি, এ সময় আমার প্রিয়তম চাতক পক্ষীটিকে দেখিতে বড়ই ইচ্ছা হয় । আহা! মিথ্য অণশা করিলে কি হইবে, সে আর কখনই ফিরিবেন, নিশ্চয় সে কোন সবুজ বনে উড়িয়া পলায়ন করিয়াছে । শরৎকালের মধ্যেই খৰ্ব্বকায়ার বস্ত্র প্রস্তুত হইল। ক্ষেত্রমুষিক তাহকে বলিল, আর চারি সপ্তাহের মধ্যে তোমার বিবাহ সম্পন্ন হইবে । ইহাতে সে চীংকার শব্দ পুৰ্ব্বক ক্ৰন্দন করিয়া কহিল আমি বিরক্তকারি ছুঁচাকে কোনমতে বিবাহ করিতে চাহি না । ক্ষেত্রমুষিক বলিল ঠেটা করকট্য। দুষ্ট মেয়া ।