পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रूषिउद्धृ ॥ سوا0 চারা বদ্ধিত হইলে তিন বৎসরের পর প্রতি বৎসর পৌষ ও মাঘ মাসে গাছের গোড়ার মৃত্তিক কিঞ্চিৎ খনন করিয়া দগ্ধ মৃত্তিকার সার অন্য মৃত্তিকার সহিত একত্ৰ করিয়া গোড়াতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য। প্ৰতিবৎসর কাৰ্ত্তিক মাসে একবার ও বৈশাখমাসে আর একবার গাছের চত্তস্পাশ্বের্ণ জোল করিবে এবং যত্ন পূর্বক মৃত্তিকা দ্বারা সেই জোল পূর্ণ করিবে। তদনন্তর খৈলের জল জোলের চুর্ণ মৃত্তিকাতে দিবে। বড় গাছের জন্য দুই সের ও ছোট গাছের জন্য এক সের গুড় খৈল ভিজান উচিত। ইহাতে বিশেষ উপকার হয়। মালদহের লোকেরা ইহা নিয়তই করিয়া থাকে। জোলিটী বৃক্ষের মূল হইতে একহাত দূরে করিতে হয়। আমের বাগানে কি বৃক্ষের মূল দেশে ঘাস জঙ্গল থাকিলে কদাচি সুফল লাভ হয় না। ফল ক্ষুদ্রাকার ও কীটযুক্ত হয়। এজন্য মূলদেশ প্রতি নিয়তই পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। এই সকল প্রক্রিয়া করিলে অঠিজাত বৃক্ষের পাঁচ ছয় বৎসরে ও কলমের চারার তিন বৎসরেই প্রচুর ফল হয় । যে স্থানের মৃত্তিকাতে স্বভাবতঃ জলীয়ভাগ অত্যধিক, সেই স্থানে আমের বাগান করিতে হইলে চতুষ্পাশ্বে পগার করিয়া অনুস্থান দুই হাত উচ্চ হয়। এই পরিমাণ মৃত্তিকা উত্তোলন করিয়া দিবে এবং বর্ষা সময়ে বৃক্ষের মূলে জল বাধিয়া থাকিতে না পারে। এমত উপায় করিবে । মৃত্তিকা নীরস হইলে ফান্ধন ও চৈত্র মাসে বৃক্ষের মূলের কিঞ্চিৎ ব্যবধানে আলি বান্ধিয়া সন্ধ্যার সময়ে জল দেওয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য নতুবা মুকুলোদগম প্ৰায় হয় না, হইলেও অল্প হয়। মুকুলোদগমের পর অতিশয় কুয়াস হইলে মুকুল সকল শুষ্ক হইয়া ফলোৎপত্তি হয় না। তৎকালে বৃক্ষের মূল সরস রাখিতে পারিলে অনেক উপকার झझ । সকল প্রদেশে এক সময়ে মুকুলোদগম হয় না। স্থান বিশেষে অগ্রপশ্চাৎ ক্ৰমে পৌষ মাস হইতে চৈত্র মাস পৰ্যন্ত মুকুলোদগম হয়। তদনুসারে বৈশাখ হইতে ভাদ্র মাস পৰ্য্যন্ত ফল পাক হইয়া থাকে।