পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিদর্পণ । R> সেই আম্র কাটলে গোলাপের গন্ধ বহির্গত হয় এবং এক প্রকার কাটাল আছে, তাহার কোষের ভিতর বীজকে বেষ্ট্রন করিয়া এক স্থলী উৎপন্ন হয়, ঐ স্থলীর তিতর মধু থাকে। ইহা ভিন্ন অনেক বৃক্ষের ফল এমত পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গিয়াছে যে, তাহাদিগকে তঞ্জাতীয় বলিয়া কখনই প্রতীত হয় না ; যেমন এক্ষণে এক প্রকার পাতিলেবু উঠিয়াছে, উহা আকারে বাতাবি লেবুর সদৃশ, উহাকে কোন মতে পাতিলেবু বলিয়া বোধ হয় না । কোন কোন ইংলণ্ডীয় উদ্ভিদ্রবেত্তারা কছেন যে, কোন কোন লতা এই স্বাভাবিক কৌশল দ্বারা পরিবর্তিত হইয়া, বৃহৎ কাণ্ডবিশিষ্ট বৃক্ষ হইয়াছে, কিন্তু এই বৃক্ষ এতদেশীয় লোকদিগের অসম্ভব বলিয়া বোধ হইতে পারে, কারণ ইহার কোন বিশেষ কারণ দর্শাইতে পারা গেল না, কেবল উক্ত উদ্ভিদ্রবেত্তাদিগের কথার উপর নির্ভর করিয়া এ কথা লেখা গেল । , আর , যদি কৃত্রিম কৌশল দ্বারা উদ্ভিত্বদিগের উন্নতি সাধনের চেষ্ট্রণ করা যায়, তাহা হইলেও তদ্বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারা যায় । পুৰ্ব্বে লিখিত হইয়াছে যে, আগামি বর্ষের কৃষিকার্য্যের জন্য অতিশয় পরিপুঞ্জ চারীর বীজ রাখা অবশ্যক, কেননা বলিষ্ঠ পিতার শুক্রজাত সস্তান বলিষ্ঠষ্ট হয় । কিন্তু