পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ উপক্রমণিকা । করিতেছেন তিনিই সুখের রাজ্যে অধিরূঢ় হইয়াছেন । অহুসন্ধান করিয়া দেখিলে প্রায় কাহাকেও এতক্রপ দেখিতে পাওয়া যায় না, তবে কৃষকদিগের মধ্যে কিঞ্চিৎ সুখের উপলব্ধি হইয়া থাকে। কারণ র্তাহাদিগের মন কৃষিকায্যে রত থাকায় আর কিছুতেই বাসনা নাই, কেবল কি প্রকারে ভাহাদিগের ক্ষেত্রোৎপন্ন বৃক্ষ সকল উত্তমরূপে ফলবান হইতে পারে, ইহার কারণামুন্ধানে তাহাকে মিয়ত অবস্থান করিতে হয় তাহাতে ক্রমে জগদীশ্বরের সৃষ্টিকৌশল-লীলা প্রবাহ তাহার তন্তঃকরণে উদয় হওয়াতে সে পরমানন্দ লাভের পাত্র হইতে পারে। বিশেষতঃ তাহার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিশ্রমে সঞ্চালিত হওয়াতে বহু ঘৰ্ম্ম বহির্গত হইয়া আস্তরিক ক্লেদ নির্গত হইয়া যায় এবং তাহার জড়তা কোন স্থানে আর থাকে না । পরে দিবাবসানে কৃষক স্বীয় কাৰ্য্য সমাধা করিয়া যখন গৃহে পুনরাগমন করেন তখন র্তাহীর মন প্রফুল্ল হইয়। প্রেমানন্দে প্রেয়সীকে ও সস্তানদিগকে দশন করাতে পরিশ্রমের ক্লেশ আর থাকে না । অবশেষে ক্ষুধায় কণতর হইয়া তৃপ্তিপুৰ্ব্বক ভোজন করিলে সূখের নিদ্রা আসিয়া আকর্ষণ করে এবং অচৈতন্যে যামিনী যাপন করিয়া প্রাতঃকালে নিয়মিতরূপ কোষ্টশুদ্ধি হওয়াতে র্তাহার মন সম প্রফুল্ল থাকে, তৎপ্রযুক্ত র্তীৰ্ণর শরীর সতত রোগগ্রস্ত হইবার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। এবং উiহার মনোমধ্যে কোন ভাবনা থাকে না, কেবল পরিবার প্রতিপালন করিবার আকিঞ্চলে কৃষক আপন পরিশ্রম