পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিক}} S: কলমে, মাট কলমে এবং শাখাচ্ছেদ কলমে চারা উৎপাদন দ্বারা.ফল ফুলের ঔৎকর্ষ বৃদ্ধি হইয়া থাকে, যথা, করডিয়া আলু, লিচু, ইত্যাদি বৃক্ষ উক্ত প্রকারে উৎপন্ন না করিলে, ফল ফুলের গুণ পরিবর্তিত হইবার সস্তাবনা। গেড় হইতে যে সকল উদ্ভিজ্জ জন্মিয় থাকে তাহাদিগের স্বাভাবিক অবস্থায় আলগা মৃত্তিকার অভাব প্রযুক্ত গেঁড়, বৃদ্ধি পাইতে পারে না। কিন্তু কর্ষিত ভূমিতে রোপণ করাতে এক্ষণে বৃহদাকারে উৎপত্তি হইতেছে, কারণ তদ্বারা অধিক রস শোষণ পূৰ্ব্বক পুষ্ট হইয়া ব্লদ্ধি পায়, যথা, সালগ্রাম, মুলা, গাজর, কচু, মানকচু, ইত্যাদি। অপর, আলুর বীজ বপন করিলে অতি ক্ষুদ্র আলু উৎপন্ন হয়, কিন্তু উহার চক্ষু কাটিয়া উক্ত প্রকার ভূমিতে পুতিলে বুদ্ধিশীল হইবেক । কদলী রক্ষ সকল কর্ষিত ভূমিতে পুতিবার পূর্বে যখন বন্য অবস্থায় ছিল, তখন উহার ফল বীজেতে পরিপূর্ণ থাকিত কিন্তু এক্ষণে বিবেচনা পূর্বক রোপণ করাতে বীজ সকল লোপ পাইয়াছে ও শস্য অধিক হইয়াছে, অতএব যে কারণে ফল ফুল এরূপ বৃদ্ধি হইতে পারে, তাহার বিষয় জ্ঞাত হওয়া অতি কৰ্ত্তব্য, এজন্য আমি ক্রমশঃ এই বিষয় প্রকাশ করিতে প্ররক্ত হইলাম ! আদৌ ইহাই বিবেচ্য, কি নিয়ম অবলম্বন করিলে কৃষিকার্ষে নিপুণ হওয়া যাইতে পারে। এ প্রদেশে কুমিকাৰ্য্য যেরূপ অবস্থায় প্রচলিত আছে তাহ দেখিয় আমাদিগের অনুমান হইতেছে যে হিন্দুদিগের মধ্যে এবিষয়ে নিপুণ হইবার কোন বিশিষ্ট ধারা নাই, কেবল স্বাভাবিক নিয়ম দেখিয়া কতিপয় উদ্ভিজ্জ রোপণ করিবার