পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७ ) সংস্থাপিত হইয় তাহার শ্ৰীবৃদ্ধিও হইয়াছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ ভারতবর্ষে কৃষির উন্নতি হয় नाझे । g ১৮৩৫ খ্রীঃ অব্দে যখন ভারতবর্ষের পরম হিতকারী লর্ড উইলিয়মৃ বেণ্টিঙ্ক মহোদয় স্বদেশে যাত্র করেন, তখন তিনি স্ব মুখে ব্যক্ত করিয়াছিলেন, এদেশে অন্যান্য বিদ্যার যেমন অপ্রাচুর্য্য, তেমনি কৃষি বিদ্যারও অপ্রাচুর্য্য দৃষ্ট হয়। আ ম এই অপ্রাচুর্য দর্শনে কি পৰ্যন্ত দুঃখিত হইয়াছি, তাহ। প্রকাশ করিতে পারি না। ভারতবর্ষের চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিলে ইহার তিনটী চিহ্ন লক্ষিত হয়। ফলে সে অন্য কিছুই নহে, দরিদ্রতা—অপকৃষ্টতা— অপমানিতা। এই সকল দোষের প্রতিকারার্থ অন্য কোন মহৌষধ দেখা যায় না, একমাত্র আছে তাহার নাম জ্ঞান—জ্ঞান—জ্ঞান।” এই প্রকারে সাহেবের ভারতবর্ষে কৃষি প্রবৃত্তি সংবৰ্দ্ধনার্থে'fবস্তর প্রয়াস পান, কিন্তু আমরা এমনই অকৰ্ম্মণ্য যে, ষকাৰ্য্য সাধনের সমুচিত উপায় সত্বেও অলস হইয়া রহিলাম। ইহা কি সাধারণ আক্ষেপের বিষয় ! ! ! অম্মদেশীয় উচ্চশ্রেণীস্থ সহ স্ত মহাশয়েরা যদি কৃষিকায্যের উন্নতি বৰ্দ্ধনে যত্নবান হইতেন, কৃষক দিগকে হতাদর না করিয়া উৎসাহিত করিতেন, তাহ হইলে বোধ হয় ভারতবর্ষের শস্যাদি দ্বারা ভারতবর্ষের ন্যায় দুই তিনটা দেশের কুলান হইত। নীলকর সাহেবেরা ভারতবর্ষে আসিয়া যে