পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৫ ) স্বৰূপ। এই নিমিত্ত যে দেশে তাদৃশ বর্ষ হয় না অথবা ক্ষেত্রে জল প্রাপ্তির তাদৃশ নৈসর্গিক উপায় নাই, তত্ৰত অধিবাসিগণ অতি পুৰ্ব্ব কাল হইতে তৎপ্রতিবিধান করণ পূৰ্ব্বক, প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য নিজ২ কৌশলোদ্ভাবিত উপায় অবলম্বন করিয়৷ আসিতেছে । e মিসর দেশে কদাচিৎ বৃষ্টি হয়। মিসর বাণীর নীলনদের বার্ষিক প্লাবন দেখিয়া জল সিঞ্চনের আবশ্যকতা স্থির করিয়াছিল, এবং উক্ত দেশে যে, জল সিঞ্চনের বহুল প্রচার ছিল, তাহা প্রাচীন খাতখাল ও হ্রদাদির অবশেয-চিহ্ল দ্বারা স্পষ্ট বোধ হয়। ত হাদিগের জল সিঞ্চনের নানা প্রকার যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। তৎসমুদায় পদ দ্বারা সঞ্চালিত হইত। এখনও মিসর দেশে ঐ প্রকার যন্ত্র দ্বার। জল সিঞ্চন কার্য্য নির্বাহ হইয়া থাকে । তাহারা নদী হইতে জল তুলিয়া, এক বৃহৎ কুণ্ডে রাগে এবং ক্ষেত্রের চারিদিকে জল সঞ্চারিত হইতে পারে এন্ধপ পয়নালা প্রস্তুত করিয়া ঐ কুণ্ডের সহিত সংযুক্ত করে। পরে আবশ্যক হইলে, কুণ্ডের দ্বার মুক্ত করিয়া দেয়। তাহাতে জল বহির্গত হইয়া, নালা দ্বারা ক্ষেত্রে সঞ্চালিত হয় । কৃষকেরা প্রয়োজনোপযোগী জল লইয়া পুনরায় কুণ্ডের দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিতে পারে । আমাদের দেশে জলসিঞ্চন কর্য্যে ডোঙ্গা-কলের অধিক ব্যবহার অাছে। ডোঙ্গাকলে জল সিঞ্চনের 2 있