পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩০ ) গুটিকলম। গুটিকলম করিতে হইলে কোন শাখার দুই পত্র গ্রস্থির মধ্যস্থিত পৰ্ব্ব (পাব) স্থানের চতুপাশ্বের, ছাল, ছুরিকা দ্বারা কিয়দংশ কাষ্ঠের সহিত তুলিয়া ফেলিবে । পরে পচা পাতার সার বা গোময় খোইল প্রভৃতির সার, তাপে মৃত্তিকার সহিত মিশ্রিত করতঃ ঐ স্থানের চতুষ্প শ্বে গোলাকারে দিয়৷ তদুপীি ছেড়া চট্‌ অথবা তৎসদৃশ অন্য আবরণ বান্ধিয়। দিবে এবং তাহার ঠিক উপরে একটা সচ্ছিদ্র ভাড় বুলাইয়া যাহাতে সৰ্ব্বদা বিন্দুখ জল পতিত হয় এমত বিধান করিবে । এই প্রকারে দুই কি আড়াই মাস রাখিলেই বন্ধন স্থান হইতে শিকড় বহির্গত হইবে । তখন তাত সাবধানে ধীরে ২ শাখার যে স্থানে কলম বান্ধ! গিয়াছে, তাহার নিম্নভাগে কঢ়িয়। উপযুক্ত মুক্তিকা বিশিষ্ট উদ্যানে রোপণ করবে। কাটিবার সময় অধিক বাঁকি লাগিলে অনিষ্ট হইবার সম্ভাবনা। উদ্যানে রোপণ করিয়া আতপ নিবারণ জন্য কিয়দিবস পর্য্যন্ত ছায়া করিয়া রাখিতে হয়। লেবু, নিচু, আম, জাম প্রভৃতি অনেক বৃক্ষে এই কলমে চারা প্রস্তুত হইয় থাকে চৈত্র ও বৈশাখ এই দুই মাস গুটিকলম বান্ধিবার উপযুক্ত সময় ।