পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩S ) বাছিয়া লওয়া আবশ্যক যে, সেই শাখার স্থূলতা, চারার কাণ্ডের ন্যায় হয় । চারার কাণ্ড অপেক্ষ। শাখার স্থূলতা অধিক হইলে যোড় লাগিতে পারে, কিন্তু পরে চারার স্বাক্ষাকাণ্ড, স্থল শাখার উপযুক্ত রস ঘে{গাইতে না পা, রয়া বিনাশ প্রাপ্ত হয় । শাখা অপেক্ষা চারার কাণ্ড কিঞ্চিৎ স্থল ও সতেজ হইলে কোন হানি হয় না বরং কলম উত্তম হয়। চারা ও শাখা উভয়ের যে২ অংশ যুড়িতে হইবে, সেই সংশ হইতে তাম্ব্যন চারি অর্কুল দাৰ্ঘে কিঞ্চিৎ কাঠের সহিত ছাল তুলিয়া এৰূপে পরিষ্কার করিতে হইবে যে, যুড়িলে তাহার মধ্যে কিছুমাত্র ফাক ন৷ থাকে অনন্তর উভয়ের উক্ত অংশ দ্বয়কে পরস্পর সংমিলন করতঃ এক গাছি সূক্ষ রজজু দ্বার। পাঁচ ছয় মাস পর্য্যন্ত তদবস্থায় জড়াইয়। রাখিতে হইবে । পরে যখন উভয়ে উত্তম ৰূপ যোড় লাগিবে, তখন ঘোড়ের নিম্ন ভাগে শাখা ও উপরি ভাগে চারীর মস্তক ছেদন করিয়া ফেলিতে হইবে। চারার মস্তক ছেদন না করিলে চারায় ও শাখায় ভিন্ন প্র করে ফল প্রসব করিবে কিন্তু তা হাতে সংলগ্ন শাখ। সতেজ হইতে পারে না, সুতরাং যোড় কলমের অভিপ্রায় ও সফল হয় না । এই কলম সকল সময়েই করা যাইতে পারে। শখ ও চারা ভিন্ন জাতীয় হইলে প্রায় যোড় কলম হয় না। এই কলম বান্ধিবার সময়, শাখা ও চারার ঘোড় স্থানের ছাল পরস্পর মিলিত না হইলে, শাখা শুষ্ক