পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৫৩ ) মোই, বিদে, কাস্তে প্রভৃতি যে কয়েকট কৃষি-শস্ত্র আদিম সময়ে এদেশে উদ্ভাবিত হইয়াছিল, দুর্ভাগ্য বশতঃ অদ্যাপিও কৃষকগণ তদ্বারাই য়ুৎসামান্যৰূপে কৃষিকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিয়া আসিতেছে। উহার উন্নতি বৰ্দ্ধনে কে হই উপায়ান্তর উদ্ভাবন করে নাই এবং তন্নিমিত্ত কাহার যত্নও নাই । যাহা হউক প্রচলিত যন্ত্র কএক খানি, বোধ হয় সকলেই দেখিয়াং ছেন । তাহাদের আকৃতি বর্ণন অধিকন্তু, তাহাদের কার্য্য সম্বন্ধে কিছু বলা আবশ্যক, তাহাই এস্থলে প্রকাশ করা যাইতেছে । । e লাঙ্গল—যে ক্ষেত্রে শস্যাদির বীজ বপন করিতে হয়, অর্থাৎ যে সকল উদ্ভিজ্জের মুল মৃত্তিকার অধিক নীচে প্রবেশ করে না, সেই সমুদায় উদ্ধিজ্জের উৎপাদন-নির্মিত্ত লাঙ্গল দ্বারা মৃত্তিক। খনন করিলেই যথেষ্ট হয় । কারণ লাঙ্গলের ফাল মৃত্তকার অধিক নীচে প্রবেশ করে না সুতরাং উহ। দ্বারা অধিক গভীরের মৃত্তিকা আলুগাও হয় না । এদেশীয় কৃষকগণ এই জন্য ধন্য, কলাই, তিল, সরিষা প্রভৃতি যে সকল শস্যের মুল, মৃত্তিকার অধিক নীচে প্রবিষ্ট হয় না, তাহদের ক্ষেত্র-কর্ষণ-কাৰ্য্য লাঙ্গল দ্বারা সম্পন্ন করিয়া থাকে। পরন্তু এদেশে যে লাঙ্গল ব্যবহৃত তদ্বারা কর্ষণ-কাৰ্য্য বহু বিলম্বে নিম্পন্ন হয় । ইংলণ্ড দেশে ভূমি কর্ষণ ক্রিয়া সম্পদনার্থ একপ্রকার উৎকৃষ্ট যন্ত্র আছে, ক্ষেত্র ভেদ করিয়া মৃত্তিকা আলগা করিতে পারে, এমত অনেক S)