পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্য-সমালোচনা (9 প্ৰত্যেকটি শব্দের তৃতীয় অক্ষরটি সংযুক্ত বর্ণে পরিণত করিয়া বাঙ্গলাটা সংস্কৃতের ছন্দে মার্জিত করিয়া লইয়াছেন। এই সংস্কৃতের আলোকে আলোকিত জগৎ পার হইয়া আমরা কবি ও যাত্রাওয়ালার রাজ্যে • আসিয়া পড়িতেছি। সহরের বিরাট সৌধমালাসকুল, তরুলতাবিরল দৃশ্যাবলী হইতে আসিয়া এখানে যেন আপনার গায়ে পড়িলাম ; এখানে যাহা কিছু পাইতেছি তাহ আজন্ম ঘনিষ্ঠতার দরুণ এবং বাঙ্গালীর বিশিষ্টতা ও প্ৰতিভাব্যঞ্জনার জন্য এ যেন আমাদিগের নিজ রাজ্যে নিজ মৰ্ম্মের নিকট ফিরাইয়া লইয়া আসিল । কৃষ্ণকমলকে আমি বঙ্গভাষা ও সাহিত্য ও অপরাপর স্থানে “প্ৰশংসা করার দরুণ শ্ৰদ্ধেয় রবীন্দ্ৰবাবু তাহার কোন প্ৰবন্ধে আমার প্রতি প্ৰসন্নভাবে একটু কটাক্ষা করিয়াছেন। যখন এত বড় উচু জায়গা হইতে আসিয়াছে, ও অনুপ্রাসের কথা লইয়া যখন তিনি প্রতিকুল সমালোচনা করিয়াছেন, তখন আমার এ সম্বন্ধে বক্তব্যগুলি একটু পরিষ্কার করিয়া বলিবার সুযোগ আমি ছাড়িতে পারিলাম না । রবীন্দ্ৰ বাবু লিখিয়াছেন ঃ“আমাদের বন্ধু দীনেশবাবু কর্তৃক পরম প্ৰশংশিত কৃষ্ণকমল গোস্বামী মহাশয়ের গানের মধ্যে নিম্নলিখিত প্রকারের আবর্জনা ঝুড়ি ঝুড়ি চাপিয়া আছে। তাহা কাহাকেও বাধা দেয় না। “পুনঃ যদি কোন ক্ষণে দেখা দেয় কমলেক্ষণে যতনে করে রক্ষণে জানাবি তৎক্ষণে ।” এখানে কমলেক্ষণ এবং রক্ষণ শব্দটাতে একার যোগ করা একবারেই