পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একগুঁয়ে বার্থা

 মাখন মল্লিক বললেন, যা ভাবছেন তা নয় মশায়, এতে ইণ্টারন্যাশনাল ক্ল্যাশের নাম গন্ধ নেই। আসল কথা, বার্থা গাড়ি প্রতিশোধ নিয়েছে, কুমার সাহেবকে ডেলিবারেটলি খুন করেছে।

 কৈলাস গাঙুলী বললেন, বড়ই অলৌকিক কথা, কলিযুগেও কি এমন হয়? অবশ্য জগতে অসম্ভব কিছু নেই। আপনার এই বিশ্বাসের কারণ কি?

 এই সময় কামরায় একটা ধাক্কা লাগল, তার পরেই হেঁচকা টান। অতুল রক্ষিত বললেন, যাক, বাঁচা গেল, ইঞ্জিন খুব চটপট এসে গেছে, সাড়ে দশটার মধ্যে কাশী পৌঁছে যাব।

 নরেশ মাখুজ্যে বললেন, কাশী বিশ্বনাথ এখন মাথায় থাকুক। মল্লিক মশায়, আপনার গল্পটি শেষ করে ফেলুন, নইলে গাড়ি থেকে নামতে পারব না।

 মাখন মল্লিক বললেন, তার পর শ‍ুনুন। আমার মাথার আর হাতের ঘা সেরে গেল, মকদ্দমাও চুকে গেল। তখন আমার মনে একটা জেদ চাপল। বার্থা গাড়ির আচরণটি বড়ই অদ্ভুত, তার রহস্য ভেদ না করলে স্বস্তি পাব না। প্রথমেই খোঁজ নিলম জগুমল সেথিয়ার কাছে। সে বললে, এই গাড়ির মালিক ছিলেন সলিসিটার জলদ রায়, রায় অ্যাণ্ড দস্তিদার ফার্মের পার্টনার। রাঁচি যেতে যেতে চাণ্ডিলের কাছে তাঁর গাড়ি উলটে যায়। তাঁর বন্ধু কুমার বাহাদর নিজের গাড়িতে আগে আগে যাচ্ছিলেন, তিনিই অতি কষ্টে জলদ রায় আর

৫৩