করতে পারে তো? তা হলেই আমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। এখন আমার প্রার্থনাটি শুনুন।
কৃষ্ণ সবিস্তারে তাঁর প্রার্থনা জানালেন। জ্বলজ্জট অট্টহাস্য করে বললেন, বাসুদেব, লোকে তোমাকে কুচক্রী বলে, কিন্তু আমি দেখছি তুমি সুচক্রী, তোমার উদ্দেশ্য সাধু। নিশ্চিন্ত থাক, তোমার অনুরোধ নিশ্চয়ই রক্ষা করব। দু দিন পরে অপরাহ্ণকালে আমি পাণ্ডবদের আশ্রমে উপস্থিত হব।
প্রণাম করে কৃষ্ণ বিদায় নিলেন এবং আরও উত্তরে যাত্রা করে রাজর্ষি রোহিতের আশ্রমে এলেন। ইনি বলদেবজননী রোহিণীর ভ্রাতা, বানপ্রস্থ অবলম্বন করে সস্ত্রীক অরণ্যবাস করছেন। কৃষ্ণকে দেখে প্রীত হয়ে বললেন, বৎস, বহুকাল পরে তোমাকে দেখছি। তুমি এখানে কিছুদিন অবস্থান করে তোমার মাতুলানী ও আমার আনন্দবর্ধন কর। দ্বারকার সব কুশল তো?
কৃষ্ণ বললেন, পূজ্যপাদ মাতুল, সমস্তই কুশল। আমি আপনাদের চরণদর্শন করতে এসেছি, দীর্ঘকাল থাকতে পারব না, দু দিন পরেই বিশেষ প্রয়োজনে পাণ্ডবাশ্রমে আমাকে ফিরে যেতে হবে।
পাণ্ডবগণের পোষ্যবর্গ প্রায় দু শ, প্রতিদিন দু বেলা এই সমস্ত লোকের আহারের ব্যবস্থা করতে হয়। দ্বৈতবনে হাটবাজার নেই, তণ্ডুলাদি শস্য পাওয়া যায় না, কালে ভদ্রে দরদ
৬৮