কৃষ্ণকাস্তের উইল سb-b জানিলেও বলিতে ইচ্ছা করি না—কিন্তু আমরা শুনিয়াছি, এমত কথাবাৰ্ত্ত হই থাকে ৷ এমত সময়ে রূপো বাবুর অবকাশ পাইয়। বাবুকে জানাইল যে, একটি ভদ্রলো সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছে । বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথা হইতে আসিয়াছে ?” রূপো । তাহ জানি না । বাবু। তা না জিজ্ঞাস করে খবর দিতে আসিয়াছিস্ কেন ? রূপে দেখিল, বোকা বনিয়া যাই । উপস্থিত বুদ্ধির সাহায্যে বলিল, “তা জিজ্ঞা করিয়াছিলাম। তিনি বলিলেন, বাবুর কাছেই বলিব ।” বাবু বলিলেন, “তবে বল গিয়া, সাক্ষাৎ হইবে না।” এদিকে নিশাকর বিলম্ব দেখিয়া সন্দেহ করিলেন যে, বুঝি গোবিন্দলাল সাক্ষা করিতে অস্বীকৃত হইয়াছে । কিন্তু দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে ভদ্রত। কেনই করি ? আমি কে আপনিই উপরে চলিয়া যাই না ? এইরূপ বিবেচনা করিয়া ভূত্যের পুনরাগমনের প্রতীক্ষা না করিয়াই নিশাক গৃহমধ্যে পুনঃপ্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, সোণী রূপো কেহই নীচে নাই । তখন তিনি নিরুদ্বেগে সিড়িতে উঠিয়া, যেখানে গোবিন্দলাল, রোহিণী এবং দানেশ খ৷ গায়ক, সেইখানে উপস্থিত হইলেন। রূপে তাঙ্গকে দেখিয়া দেখাইয়। দিল যে, এই বাবু সাক্ষাৎ করিতে চাহিতেছিলেন । গোবিন্দলাল বড় রুষ্ট হইলেন । কিন্তু দেখিলেন, ভদ্রলোক । জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কে ?” নি। আমার নাম রাসবিহার দে । গো । নিবাস ? নি। বরাহনগর । নিশাকর জাকিয়া বসিলেন। বুঝিয়াছিলেন যে, গোবিন্দলাল বসিতে বলিবেন না । গো । আপনি কাকে খুজেন ? নি। আপনাকে । গে। আপনি আমার ঘরের ভিতর জোর করিয়া প্রবেশ না করিয়া যদি একটু অপেক্ষা করিতেন, তবে চাকরের মুখে শুনিতেন যে, আমার সাক্ষাতের অবকাশ নাই ।
পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৪
অবয়ব