পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b8bነ” কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য পাইয়া যেরূপ ক্ষেপিয়া উঠিয়াছিলেন, সে ঘটনাটি বড়ই করুণ-রসোদ্দীপক ! এখানে সে কথাটি উল্লেখযোগ্য। সে অনেক দিনের কথা, তখন ফেব্রুয়ারী মাস।--সেই সময় এক দিন। কৈসার তাহার মহিষীকে বলিলেন, “তুমি যত রাজ্যের চোর পুষিয়াছ! তাহারা ক্ৰমাগত প্ৰাসাদে চুৱী করিতেছে। এখানে কোনও জিনিস রাখিয়া নিশ্চিন্ত থাকিবার যো নাই। শেষে দেখিতেছি-আমার ঘরগুলাকে কেল্লায়, পরিণত না করিলে আর চলিবে না ।” মহিষী স্বামীর কথার কোনও প্ৰতিবাদ না করিয়া সেই দিন অপরাহে হের ভন ডার নেসিবেককে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কৈসারের কোন জিনিস কবে কিরূপে চুরী গিয়াছে ?” ভন ডার নেসিবেক বলিলেন, “গত রবিবার রাত্রে সম্রাট একটি “এচটি’ (আসল) হাবান চুরুট খাইয়া তাহার আধখানা তঁহার প্রসাধন-কক্ষে (toilet room) একখানি ছাই-রাখা রেকবী (ash-1ray)র উপর রাখিয়াছিলেন, আজ বুধবার ; তিনি সেই চুরুটের অবশিষ্ট অংশটুকুর সদগতি করিবার জন্য সেটি খুজিতে গিয়া আর তাহ দেখিতে পাইলেন না !! দাস-দাসীদের জিজ্ঞাসা করা হইল, সেই চুরুট আধখানা কোথায় ? কিন্তু কেহই এ প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারিল না । সেই জন্য সম্রাটের ধারণা কোন-না-কোন চাকর সেই চুরুট আধখানা চুরী করিয়াছে।-চাের ধরিবার জন্য রীতিমত তদন্ত আরম্ভ হইয়াছে।” তিন দিন মহা-উৎসাহে সেই ‘হাভানা’ চুরুটের পোড়া লেজের তদন্ত চলিল । তিন দিন অনুসন্ধানের পর বামাল আবিষ্কৃত হইল-একটা আবজর্জনা-পূর্ণ ঝোড়ার মধ্যে ! এমন মহামূল্য দ্রব্য আবৰ্জনার ঝোড়ার ভিতর কে ফেলিল ?-অবশেষে জানিতে পারা গেল, প্রাসাদের সে পরিচারিকা প্রাসাদস্থ কক্ষ পরিমাজ্জিত করে, সে উপৰ্য্যুপরি দুই দিন চুরুটটি