পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য কিন্তু লোকে প্ৰাণ খুলিয়া তাহার শৌৰ্য-বীৰ্য্যের প্রশংসা করিত । না ; কারণ তাহারা বলিত, তিনি ‘আধা ইংরাজ আধা জৰ্ম্মান” । অনেকেই সন্দেহ করিত, তিনি ইংরাজি-জাতির—তাহার মাতুল কুলেরই—অধিক পক্ষপাতী। তঁহার পিতারও এইরূপ দুনাম ছিল ; তাহার পিতা। স্বৰ্গীয় সম্রাট সমর বিভাগের প্রধান কৰ্ম্মচারিগণের মতের বিরুদ্ধে কোনও কাৰ্য্য করিলেই তঁাহারা দৈববাণী করিতেন, সম্রাটের ইংরাজবংশীয় মহিষী তাহাকে যে ভাবে চালাইতেছেন,-তিনি সেই ভাবেই চলিতেছেন!—অহরহ এইরূপ প্ৰতিকুল মন্তব্য শুনিয়া মহারাণী ভিক্টোরিয়ানন্দিনীর হৃদয় অশান্তিতে পূর্ণ হইয়া উঠিত। সুতরাং কৈসার উইলিয়াম যে ইংরাজের পক্ষপাতী, এই অপবাদ, ঘুচাইবার জন্য তিনি প্ৰাণপনে চিরদিন চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন। একবার ইংলণ্ড পরিভ্রমন পূর্বক স্বদেশে প্রত্যাগমন করিয়া, তিনি যে প্রকৃতই ইংরাজ-বিদ্বেষী, তাহা কথায় ও কাৰ্য্যে প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া উঠেন ; এবং কোনও একটা উপলক্ষ্য পাইলেই ইংলণ্ডের অধিবাসীবর্গের, এমন কি, ইংরাজের আচার ব্যবহারেরও নিন্দা করিয়া, তঁহার ইংরাজ-বিদ্বেষের পরিচয় প্ৰদান করিতেন। এক দিন সৈনিকের কৰ্ত্তব্য সম্পাদনা করিয়া তিনি সেনানিবাসে প্ৰত্যাগমন করিতেছিলেন, সেই সময় কিরূপে তাহার নাসিক গ্রে আঘাত লাগিয়া রক্তপাত হয়। তঁহার নাসিকা হইতে শোণিত নিঃসারিত হইতে দেখিয়া তাহার কোনও সহযোগী জিজ্ঞাসা করিলেন, “ব্যাপার কি ?” উইলিয়াম বলিলেন, “পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার দেহে যেটুকু ইংরাজের রক্ত ছিল, তাহাঁই বাহির হইয়া গেল।” কৈসার উইলিয়াম সেই সময় হইতেই ইংরাজ-বিদ্বেষের পরিচয় দিয়া আসিতেছেন ; আর এই জন্যই তিনি স্বদেশে প্ৰজাপুঞ্জের এত