পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢bሦ কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য পল্লীনিবাসে আসিয়া কৈসার আকণ্ঠ পূৰ্ণ করিয়া আহার করেন, আর বোতল বোতল “বিয়ার” পান করেন। কিন্তু তিনি প্ৰত্যহ সন্ধ্যাকালে এক এক ‘জগ” সরবতেই তৃপ্তি লাভ করেন। সাম্রাজ্ঞী স্বামীর জন্য স্বহস্তে এই সরবত প্ৰস্তুত করেন ; সরবতের প্ৰধান উপাদান-কমলা ও কাগজি লেবুর রস। তাহাতে যে জল মিশ্রিত করা হয়, তাহা খনিজ জল। সন্ধ্যার পর কৈসার কোনও দিন গল্প করিতে, কোনও দিন-বা খেলা করিতে বসেন । একবার র্তাহার গল্প আরম্ভ হইলে দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে তাহার নিবৃত্তি হয়। না । কিন্তু খেলায় তাহার অত্যন্ত উৎসাহ থাকিলেও তিনি দীর্ঘকাল খেলায় মত্ত থাকিতে পারেন না । একবার তাহার এইরূপ এক পল্লী-প্ৰবাস কালে এক দিন। তঁহার নিকট এক ‘পার্শেল’ আসিয়া হাজির । পার্শেলটি লইয়া তিনি সোৎসাহে বলিলেন, “এডোয়ার্ড মামা ( আমাদের স্বৰ্গীয় সম্রাট সপ্তম এডোয়ার্ড) উপহার পাঠাইয়াছেন দেখিতেছি!”— কৌতুহলী কৈসার তৎক্ষণাৎ পার্শেলটি খুলিয়া ফেলিয়া দেখিলেন, তাহার ভিতর ‘পিং-পং” খেলিবার সরঞ্জাম রহিয়াছে। সে সময় ইংরাজ-সমাজে এই খেলার ধূম পড়িয়া গিয়াছিল।-কৈসার ও মামার স্নেহোপহার পাইয়া এই খেলায় মত্ত হইলেন ; কিন্তু মত্ততা শীঘ্রই ছুটিয়া গেল। কৈসারের লাইব্রেরীটি তেমন বৃহৎ নহে ; বিশ্ব-সাম্রাজ্যবাদের অবতার, বিশ্বগ্রাসী জাৰ্ম্মান ভাবপ্রবাহের নিয়ন্ত কৈসারের লাইব্রেরীতে কেতাবের সংখ্যা অল্প, এ কথা সহজে কাহারও বিশ্বাস হইবে না । কিন্তু সাময়িক পত্ৰাদি হইতে ষে সকল অংশ কৰ্ত্তিত হয়-তাহ পাঠেই তাহার লাইব্রেরীর অভাব পূর্ণ হয় বলিয়া তাহার লাইব্রেরীর উন্নতিকল্পে তিনি তেমন আগ্রহবান নহেন। এখন তঁহার প্রাসাদ-লাইব্রেরীতে উৰ্দ্ধসংখ্যা ছয় সহস্ৰ পুস্তক আছে। এই সকল পুস্তকের অধিকাংশ